কাদের মির্জার বিরুদ্ধে জাপা নেতাকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের অভিযোগ

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও তার বাহিনী জাতীয় পার্টির নেতা মো.সাইফুল ইসলাম স্বপনকে (৫৮) তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আহত জাতীয় পার্টির নেতা মো.সাইফুল ইসলাম স্বপন। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর বসুরহাট পৌর মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ও তার বাহিনী জাতীয় পার্টির নেতা মো.সাইফুল ইসলাম স্বপনকে (৫৮) তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

আজ বৃহস্পতিবার সাইফুল ইসলাম স্বপনের ছেলে মাইনুল ইসলাম শাওন কাদের মির্জার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ এনেছেন।

তিনি বলেন, গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের ডাচ বাংলা ব্যাংকের পাশে দক্ষিণ মসজিদের সামনে থেকে আমার  বাবাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে রাত ১০টা পর্যন্ত টর্চার সেলে তাকে নির্যাতন করা হয়।

শাওন আরও বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলা জাতীয় পাটির নেতাকর্মীদের সহায়তায় বসুরহাট পৌরসভার ৩য় তলায় কাদের মির্জার টর্চার সেল থেকে বাবাকে উদ্ধার করা হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছিল।  শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাত ১২টার দিকে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার অবস্থা সংকটাপন্ন।

এ বিষয়ে জানতে আব্দুল কাদের মির্জাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

কাদের মির্জার ব্যক্তিগত সহকারী ও বসুরহাট পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যাহ হামিদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কাদের মির্জার বিরুদ্ধে তার প্রতিপক্ষের ইন্ধনে মিথ্যাচার করা হচ্ছে।'

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার ডেইলি স্টারকে জানান, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সাইফুল ইসলাম স্বপন কাদের মির্জার প্রতিপক্ষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেন। সেই কারণে কাদের মির্জা তাকে পৌর সভায় ডেকে নিয়ে শাসিয়েছেন। তবে মারধরের বিষয়ে জানি না।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আকরামুল হাসান জানান, বিষয়টি তিনিও শুনেছেন। ঘটনাটি কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি নিজেই  তদন্ত করছেন। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত বলা যাবে।

Comments

The Daily Star  | English

The story of Gaza genocide survivor in Bangladesh

In this exclusive interview with The Daily Star, Kamel provides a painful firsthand account of 170 days of carnage.

1d ago