সওজের জমিতে কুয়াকাটা পৌর মেয়রের ‘অবৈধ’ মার্কেট

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের জমিতে কুয়াকাটার পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে একটি মার্কেট নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় টিএন্ডটি অফিসের দক্ষিণে কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কের পাশে সওজের জমিতে টিন ও কাঠ দিয়ে মোট ১৭টি দোকান নিয়ে এ মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, অবৈধ মার্কেটটি শিগগির অপসারণের জন্য সাত দিন সময় দিয়ে দুই মাস আগে পৌর মেয়রকে নোটিশ দিলেও এখনও তা অপসারণ করা হয়নি।
মার্কেট এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুয়াকাটা টিএন্ডটি অফিসের দক্ষিণ পাশের সীমানা দেয়াল ঘেঁষে ১২০ ফুট লম্বা আর ৩০ ফুট প্রস্থের এ মার্কেটের সামনের অংশে কাঁচা শাক-সবজি, তরকারি বিক্রি করা হচ্ছে। মার্কেটে মোট ১৭টি দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। দুই মাস আগে এগুলো স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
সেখানে একটি দোকানের দোকানদার সামসুল হক হাওলাদার জানান, কুয়াকাটার মেয়র আনোয়ার হোসেন তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে দোকানটি দিয়েছেন।
মার্কেটের আরেক দোকানদার আব্দুস সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মেয়র নিজের টাকায় মার্কেটটি নির্মাণ করে আমাদের ব্যবসার সুযোগ করে দিয়েছেন। শুনেছি এ জমি সরকারি।'
মেয়র নির্মাণ খরচ বাবদ কিছু টাকা নিয়েছেন বলে জানালেও, কত টাকা নিয়েছেন তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
সূত্র জানায়, জমিটির মালিক পটুয়াখালীর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। জমি দখল করে মার্কেট নির্মাণ করায় ওই দপ্তরের কুয়াকাটা উপবিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাসেল 'অবৈধ' এ মার্কেটটি সাত দিনের মধ্যে অপসারণের নির্দেশ দিয়ে ৩০ জুন পৌর মেয়রকে একটি দাপ্তরিক চিঠি দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কুয়াকাটা পৌর এলাকায় কিচেন মার্কেট নেই। পৌরবাসীদের সুবিধার্থে সাত লাখ টাকা ব্যয়ে আমি নিজস্ব অর্থায়নে মার্কেটটি নির্মাণ করে দিয়েছি। এতে পৌর নাগরিকরা উপকৃত হচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট দপ্তর জমিটি ফেরত চাইলে আমি মার্কেটটি সরিয়ে নেব।'
তবে, সওজ কর্তৃপক্ষের মার্কেট অপসারণ সংক্রান্ত চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'চিঠি পেয়েছি এবং তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথাবার্তা চলছে।'
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর মোহাম্মাদ কামরুল হাসান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা মার্কেটটি অপসারণের জন্য দুই মাস আগে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু, মেয়র অপসারণ করেননি। আর, দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে এতদিন আমরাও কোনো ব্যবস্থা নিতে পারিনি।'
তবে, মার্কেটটি অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
Comments