সিলেট-৩ আসনে উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শনিবার

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী মারা গেলে সেই আসনটি শূন্য হয়ে যায়। সেই আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ শনিবার।
উচ্চ আদালতের আদেশে স্থগিত হওয়ার পর গত ২৫ আগস্ট ৪ সেপ্টেম্বরকে ভোটগ্রহণের নতুন তারিখ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এর আগে, গত ২৮ জুলাই কঠোর লকডাউন চলাকালে নির্বাচনের নির্ধারিত দিন থাকায় এর দুদিন আগে (২৬ জুলাই) উচ্চ আদালতের এক নির্দেশে উপনির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এম কাজী এমদাদুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগের নির্ধারিত তারিখের দুই দিন আগে স্থগিত হওয়ায় সব প্রস্তুতিই সম্পন্ন ছিল। এখন ঠিক সে জায়গা থেকেই আবার শুরু করায় সময়ের মধ্যে সব শেষ হয়েছে। আশা করছি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে।'
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলার দিন দশমিক ৫২ লাখ ভোটার ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোটপ্রদান করবেন বলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, জাতীয় পার্টির প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া ও বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী শফি আহমদ চৌধুরী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত শফি আহমদ চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। তবে, আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। তবে, আশা করছি শেষ পর্যন্ত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণ হবে।'
আওয়ামী লীগ প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিলেটের ঐতিহ্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্কও রয়েছে। আশা করছি কোনো ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।'
Comments