আবারও ইউরোপে করোনার সংক্রমণ-মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আবারও করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু ঊর্ধ্বমুখী। ফ্রান্সে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত ৭ দিনে সর্বোচ্চ ৭৮ শতাংশ সংক্রমণ এবং পোল্যান্ডে ৭৫ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে।
জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স ও ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ চিত্র দেখা গেছে।
আজ বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য মতে, ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাজ্যে। দেশটিতে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৯৯ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭৯ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৭৯ জন। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৩০ জন এবং মারা গেছেন ২ লাখ ৬১ হাজার ৫২৬ জন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ফ্রান্সে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৭৫ লাখ ৫৩ হাজার ৫১৩ জন এবং মারা গেছেন ১ লাখ ১৯ হাজার ৬০৫ জন।
ইউরোপের সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত ১০টি দেশের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ফ্রান্সে আগের সপ্তাহের তুলনায় গত ৭ দিনে সর্বোচ্চ ৭৮ শতাংশ করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং স্পেনে বৃদ্ধি পেয়েছে ৬২ শতাংশ। তবে রাশিয়া ও ইউক্রেনে সংক্রমণের হার কমেছে।
মৃত্যুর তুলনামূলক চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের চেয়ে এ সপ্তাহে পোল্যান্ডে ৭৫ শতাংশ মৃত্যু বেড়েছে এবং ফ্রান্সে বেড়েছে ৫৪ শতাংশ। তবে যুক্তরাজ্য ও ইউক্রেনে মৃত্যুর হার গত ৭ দিনের চেয়ে ৬ শতাংশ কমেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করেছে যে, করোনায় আগামী মার্চের মধ্যে ইউরোপ ও এশিয়ার কিছু অংশে আরও অন্তত ৭ লাখ মানুষ মারা যেতে পারেন।
ইউরোপের ৫৩টি দেশে ইতোমধ্যে করোনায় ১৫ লাখের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
মার্চের মধ্যে ৪৯টি দেশে আইসিইউয়ের ওপর চাপ বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে কয়েকটি দেশে নতুন করে লকডাউন দেওয়া হয়েছে। নেদারল্যান্ডসে গত সপ্তাহে রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৩ সপ্তাহের আংশিক লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে এবং অস্ট্রিয়ায় গত সোমবার থেকে ২০ দিনের লকডাউন চলছে।
ক্রোয়েশিয়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য করোনা টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ ছাড়াও ইতালিতে কর্মক্ষেত্র, পর্যটন কেন্দ্র ও গণপরিবহনে চলাচলের জন্য করোনার টিকা সনদ 'গ্রিন পাস' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একই ভাবে নিজস্ব 'কোভিড পাস' চালুর উদ্যোগ নিয়েছে ফ্রান্স।
Comments