কাদামাটির শিল্পরূপ

যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকসংস্কৃতি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক হেনরি গ্লাসি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী মৃৎশিল্প ও এর শিল্পীদের সম্পর্কে বলেছেন, 'ব্যবহারিক মৃৎপাত্রের মূল নান্দনিক মাত্রা উদ্ভাসিত হয় তার সৃষ্টিকালেই। ভোজের রান্নার সময় রাঁধুনি বা দুর্বোধ্য বিষয়কে প্রাঞ্জল গদ্যে পরিণত করার সময় বিদ্বান যে রকম তৃপ্তি বোধ করেন, কুমোরও তার কাজের প্রক্রিয়ায় একই নিবিষ্টতার আনন্দ পান।'

কুমোরেরা হাতের খেলায় কাদামাটিতে গড়ে তোলেন একেকটি মনোমুগ্ধকর অবয়ব। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে থেকেই এই কারিগররা যুগের পর যুগ ধরে যুগিয়ে চলেছেন বাঙালির শিল্পের রসদ।

গ্রাম-বাংলার এই মৃৎশিল্পীদের হাত থেকে যেমন নিত্য ব্যবহারের হাড়ি-পাতিল আসে, তেমনি গড়ে ওঠে পুতুল, হাতি-ঘোড়ার মতো খেলনা, পূজার প্রতিমা ও ঘর সাজানোর নানা উপকরণ।

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার মহেশপুর পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরাও এমন মাটির তৈজসপত্রসহ নানা শখের জিনিস তৈরি করে থাকেন। এসব সামগ্রী রাজধানী ঢাকা, নোয়াখালী, খুলনা ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি হয়। সম্প্রতি পালপাড়ার এই ছবিগুলো তুলেছেন দ্য ডেইলি স্টারের আলোকচিত্রী টিটু দাস।
Comments