খোয়াজ খিজিরের চশমা ও আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী

খোয়াজ খিজিরের চশমাটা চেয়েছিলেন আব্দুল গাফফার চৌধুরী। বাংলাদেশের সংবাদপত্র সম্পর্কিত এক লেখায় তার এই ইচ্ছাটা জানার সুযোগ হয়েছিল আমাদের। সেই খোয়াজ খিজির, যিনি দিব্যদৃষ্টি গুণ সম্পন্ন একজন সাধক পুরুষ ছিলেন। তার চশমায় দেখতে পেতেন এ পৃথিবীর প্রতিটি জিনিসের প্রকৃত রূপ-কর্মের গুণে প্রাপ্ত অবয়ব।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

খোয়াজ খিজিরের চশমাটা চেয়েছিলেন আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী। বাংলাদেশের সংবাদপত্র সম্পর্কিত এক লেখায় তার এই ইচ্ছাটা জানার সুযোগ হয়েছিল। খোয়াজ খিজির, যিনি দিব্যদৃষ্টি গুণ সম্পন্ন একজন সাধক পুরুষ ছিলেন। তার চশমায় দেখতে পেতেন এ পৃথিবীর প্রতিটি জিনিসের প্রকৃত রূপ-কর্মের গুণে প্রাপ্ত অবয়ব। 

মুসা (আ.) একদা খোয়াজ খিজিরের চশমাটা পেয়েছিলেন এবং চোখে দেয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন কিছুক্ষণের জন্য। সেই চশমা দিয়ে তিনি রাস্তার দিয়ে তাকিয়ে দেখতে পেলেন অকল্পনীয় দৃশ্য- যা চশমা ছাড়া দেখেননি কখনোই। মুসা দেখলেন তার দীর্ঘদিনের চেনা রাস্তায় কোনো মানুষ নেই অথচ চশমা পরার আগে ঠিকই দেখেছিলেন রাস্তা ভর্তি মানুষ আর মানুষ। রাস্তাজুড়ে মানুষ নয় গরু, ছাগল, পশুপাখি, কীটপতঙ্গ হেঁটে যাচ্ছে। এবার তিনি তাকালেন খোয়াজ খিজিরের দিকে, মানুষ হিসেবে দেখতে পেলেন কেবল তাকেই। খোয়াজ  খিজিরের চশমার গুণ হলো বাহ্যিক রূপ নয়, প্রকৃত রূপকে দেখতে সাহায্য করে, ভেতরের সত্যকে উপস্থাপন করে। খোয়াজ খিজিরের চশমায় আমরা যদি আব্দুল গাফফার চৌধুরীর জীবন ও কর্মের দিকে তাকাই, তাহলে কী দেখব আমরা? বিশেষ করে দেশ, জাতি ও বৃহত্তর মানষের মুক্তি ও কল্যাণের লক্ষ্যে-নিবেদনে তাঁর অবদানকে যদি আমরা পষ্টাপষ্টি বুঝে নিতে চাই তাহলে খোয়াজ খিজিরের চশমা কী দেখাবে আমাদের? এই প্রশ্নের উত্তর তালাশ করার আগে জেনে নেয়া জরুরি, খোয়াজ খিজিরের চশমায় এদেশের সংবাদপত্রের কোন্ রূপ ও বাস্তবতা তিনি খুঁজতে চেয়েছিলেন এবং কী পেয়েছিলেন?

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী দুই দশকেরও বেশি সময়ের আগের সেই লেখায় দেখেছিলেন, এদেশের সংবাদপত্র-হাতে গোণা কয়েকটা বাদে সবগুলোই মালিকপক্ষ কুক্ষিগত করে রেখেছে। এখন মালিক-সম্পাদকের যুগ। পত্রিকা বের করে মালিকই সম্পাদক বনে যান। সম্পাদক হওয়ার জন্য কোনো যোগ্যতা লাগে না, অভিজ্ঞতা লাগে না, সাংবাদিক হওয়ার প্রয়োজন নেই। কেবল টাকা থাকলেই হয় এবং সেই টাকাও কালো টাকা, যার উৎস অজানা। সেই কালো টাকার মালিকরা পত্রিকা কিনে এবং বের করে রাতারাতি নিজেই সম্পাদক হয়ে যান। কারও কারও কিঞ্চিত চক্ষু লজ্জা থাকলে নিজে না হয়ে তার বশংবদ কাউকে কিংবা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের নখ দন্তহীন ভৃত্যুরূপী কোনো একজনকে সম্পাদক বানিয়ে নেন। ওইসব মালিকের কাছে সাংবাদিকের সম্পাদক হয়ে ওঠার কোনো বালাই নেই, পেশাদারিত্ব থোড়াই কেয়ার। যে কোনো পেশার একটা দীর্ঘ জার্নি থাকে সেই জার্নিকে-অভিজ্ঞতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাতেই সিদ্ধহস্ত হয়ে উঠেছে কালো টাকার মালিকরা।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী মনে করেন, আমাদের সংবাদপত্র শিল্পের অবনমনে এই কারণটা মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে। খোয়াজ খিজিরের চশমায় তিনি আরও দেখেছেন যে, একদা মালিক-সম্পাদক যেখানে চোখে চোখ রেখে সুস্ত তর্ক ও যুক্তির মধ্য দিয়ে এই শিল্পের বিকাশকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন, সেখানে এখন সম্পাদক মাত্রই যেন স্তাবক-বিশেষ করে কালো টাকার মালিকদের কাছে। তিনি উদাহরণ হিসেবে মালিক হামিদুল হক চৌধুরী ও আব্দুস সালামের উদাহরণ হাজির করেছেন। আব্দুল গাফফার চৌধুরীর এই খেদোক্তির মধ্য দিয়ে আমাদের সংবাদপত্র শিল্পের করুণ চিত্রই প্রকটিত হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে আমাদের চোখ নিতে হয় অমর্ত্য সেনকৃত এক গবেষণার দিকে। সংবাদপত্র সম্পর্কিত এক গবেষণায় তিনি বলছেন। সারাবিশ্বেই সংবাদপত্রের সঙ্গে মালিকপক্ষের দাপট রয়েছে এবং এটাই বাস্তবতা। কেননা, সংবাদপত্রের প্রাণ ভোমরা হলো খোদ মালিক। কারণ তিনি যেহেতু বিনিয়োগকারী, তার ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপরই নির্ভর করে অনেককিছু কিংবা সবকিছু। অমর্ত্য সেন বলছেন এই বাস্তবতা সারাবিশ্বে জারি থাকলেও সর্বত্র একই রকমের নয়। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এই বাস্তবতা ভয়াবহ এবং ক্ষেত্রবিশেষে গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। এই আলোচনায় অর্মত্য সেন ভারতকে তার গবেষণার ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছেন। আমরা মনে করি, এই চিত্র দক্ষিণ এশিয়ার বেশীরভাগ দেশের ক্ষেত্রে একই রকমের বিশেষে করে ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রে এই চিত্রের উনিশ-বিশ ছাড়া বড়ো রকমের কোনো ফারাক নেই।

অমর্ত্য সেন বলছেন সংবাদপত্রের প্রধানত তিনটা পক্ষ। এক. মালিক, দুই. সম্পাদক, তিন.সাংবাদিক। তিন পক্ষ যদি যার যার জায়গা থেকে তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য ও পেশাদারিত্ব যথাযথভাবে পালন করে তাহলে সংবাদপত্রের বর্তমানের যে দারিদ্র্যরূপ দেখতে হচ্ছেন- মানে ও রুচিতে, সেটা কোনোভাবেই এতোটা প্রকট আকার ধারণ করতো না। তিনি মনে করেন উন্নত দেশগুলোতে বিশেষ করে পাশ্চাত্যের সংবাদপত্রশিল্পে ত্রিপক্ষ সমানভাবে কাজ করে। দক্ষিণ এশিয়ায় যার ঘাটতি রয়েছে প্রবলভাবে। এখানে মালিক-সম্পাদক-সাংবাদিক একটা পক্ষ হয়ে গেছে। ফলে ত্রিপক্ষ হয়তো আখের গুছাতে পেরেছে, কিন্তু সংবাপত্রের যে ক্ষতি ও মর্যাদার সংকটা তৈরি করেছেন তা এই শিল্পকে বড়ো রকমের ঝুঁকির মুখোমুখি করেছে। এবং এর জন্য যে শুধুই মালিকপক্ষ দায়ী নয়, তা কেন অমর্ত্য সেনের চোখে পড়লেও খোয়াজ খিজিরের চশমায় আব্দুল গাফফার চৌধুরীর চোখে পড়লো না, তা প্রশ্নসাপেক্ষ ও ভাবনার বিষয় বৈকি।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীর বিবিধ পরিচয় থাকলেও একটা পরিচয় তাকে শুধু জাতীয় নয়, আন্তর্জাতিক পরিচিতিও দিয়েছে। তিনি আমাদের ভাষা আন্দোলনের 'সিগনেচার সং' 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গানের স্রষ্টা। আমাদের বায়ান্নর একুশে এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে বিশ্বে স্বীকৃত ও সমাদৃত। 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি' গান এখন বিশ্বের নানা ভাষায় গাওয়া হয়, যা অনূদিত হয়েছে কমপক্ষে ২৫টা ভাষায়। সুতরাং, একজন আব্দুল গাফফার চৌধুরীর শুধুমাত্র এই অবদানই তাঁকে যতদিন বাংলাদেশ ও বাংলা বাংলা ভাষা থাকবে বিশমানচিত্রে এবং মানুষের জবানে অমর ও অক্ষয় হয়ে থাকবে। চারশ বছর পরও আমরা যেমন ভুলি নাই মধ্যযুগের কবে আবদুল হাকিমকে। যিনি লিখেছেন সেই অমর পঙক্তি, 'যে সবে বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী/ সে সব কাহার জন্ম নির্নয় ন জানি।/ দেশি ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায়,/ নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশে ন যায়?

চারশো বছর পর হয়তো একটি কিংবা কয়েকটি পঙক্তিই যথেষ্ট স্মরণ-শ্রদ্ধার্ঘে। কিন্তু সমসময়ে তো চাই আরও কিছু এবং এই প্রত্যাশা নয় মোটেই অযৌক্তিক। খোয়াজ খিজিরের চশমায় একজন আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে যদি আমরা স্বল্প পরিসরের এই লেখায় দেখে নিতে চাই চকিতে, তাহলে কী দেখব আমরা? তিনি মূলত সাহিত্যিক সাংবাদিক কিংবা ঘুরিয়ে বলা যায় সাংবাদিক-সাহিত্যিক। এই সত্তায় তাকে উদ্বুদ্ধ করেছে অমর একুশকে নিয়ে কবিতা সৃজনে।

আমরা জানি তিনি বায়ান্নোর একুশের মহান শহীদ রফিকের রক্তাক্ত লাশ দেখেছিলেন ঢাকা মেডিকেলে। এবং সেই দেখাতেই তিনি ভেতরে ভেতরে হয়েছিলেন ক্ষতাক্ত ও বেদনাহত, মনে হয়েছিলে রফিক তার নিজেরেই ভাই। তৎক্ষণাত করোটিতে গুঞ্জরিত হয়েছিল অমর সেই গানের-কবিতার প্রথম পঙক্তি 'আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি।' তারপর এই কবিতা কীভাবে সৃষ্টি হলো, সেই কবিতায় কখন প্রথমে আব্দুল লতিফ ও পরে আলতাফ মাহমুদ সুরারোপ করলেন, সেই ইতিহাস প্রায় সকলেরই কমবেশি জানা।

আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী সৃজনশীল লেখালেখি করেছেন অনেক। গল্প-উপন্যাসের বইয়ের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তারপরও তার পরিচয় দাঁড়িয়েছে একুশের গানের স্রষ্টা এবং কলাম লেখক হিসেবে। স্বাধীনতা পূর্ব-সময়ে একজন সাংবাদিক হিসেবে তার অবদান ঈর্ষণীয়-গৌরবজাগানিয়াও বটে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে তিনি নিজেকে একজন সম্পাদক হিসেবে দাঁড় করেন, সঙ্গে অব্যাহত ছিল লেখালেখিও। স্ত্রীর অসুস্থতায় চিকিৎসার লক্ষ্যে তিনি লন্ডন যান ৭৪ সালে। পরের বছরই দেশে ঘটে মর্মন্তুদ ট্রাজেডি, ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। পাল্টে দেয়া হয় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের স্বাভাবিক গতিপ্রকৃতি ও বিকাশমান ধারাকে। আব্দুল গাফফার চৌধুরীর আর দেশে ফেরা হয়ে ওঠে না। 

থিতু হয়ে যান লন্ডনেই, অব্যাহত রাখেন সৃজন ও মননশীল একজন লেখক হিসেবে, বিশেষ করে কলাম লেখক হিসেবে নিজেকে নিয়ে যান উত্তুঙ্গ এক অবস্থানে। যেখানে তাঁর সমান্তরালে প্রকৃতার্থেই কেউ ছিলেন না। তাঁর যুক্তির শক্তি ছিল অনন্য, ফলে যে কোন বিষয়ে নিজের পক্ষপাতকে মহিমান্বিত করার কৌশলে তিনি ছিলেন সাক্ষাৎ এক জাদুকর। তার লেখার পাঠকেরা দ্বিধান্বিত থাকলেও পক্ষ-বিপক্ষের অবস্থানে দ্বিমেরুর হলেও লেখার ভক্ত ছিলেন উভয়েই। এখানেই তিনি অনন্য। শুধু একজন কলাম লেখকের লেখা পড়ার জন্য পত্রিকার একটা বিপুল সংখ্যক পাঠক তৈরির রেওয়াজে তিনি ছিলেন উদাহরণ যোগ্য নাম। যদিও তিনি লেখালেখিতে তার মতো করে বেছে নিয়েছিলেন একটা পক্ষ ও নিজের বিশ্বাসের জায়গা। মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ- এসবের প্রশ্নে তিনি ছিলেন আগাগোড়াই আপসহীন এক কলম যোদ্ধা।

আমরা লেখার শুরুতে বলেছিলাম খোয়াজ খিজিরের চশমায় আমরা যদি একজন আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে দেখতে চাই, তাহলে কী দেখব?

প্রথমেই কী আমাদের মনে এই প্রশ্ন তৈরি হবে, যিনি একুশের অমর গানের স্রষ্টা। যিনি বৃহত্তর মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে শানিত রেখেছিলেন সাংবাদিক-কলম যোদ্ধা হিসেবে জারি রেখেছিলেন বৌদ্ধিক অবস্থান, যিনি পাকিস্তানের অপরাজনীতি ও সমরশাসকদের অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে ছিলেন উচ্চকিত এক কণ্ঠ তিনি কেন স্বাধীনতার পরে সেই আগের অবস্থানে দাঁড়িয়ে থাকলেন না, শিরদাঁড়া টানটান করে?

যে লড়াই জারি ছিল যৌবন পেরিয়েও, যৌবনের শেষাশেষি কোন সেই কারণ যেখানে আমরা খুঁজে পায় না তাঁদের বিগত দিনগুলোকে। এ প্রশ্ন শুধু উনার ক্ষেত্রে নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই। আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরীকে খোয়াজ খিজিরের চশমায় আমরা দেখতে চাচ্ছি, কারণ উনি সদ্য লোকান্তরিত হয়েছেন, পূর্ণাঙ্গ এক জীবন পাড়ি দিয়ে।

স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে আজও যে গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হলো না, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের স্বপ্ন অনেক ক্ষেত্রে অধরা রয়ে গেল, মানুষের সামাজিক ও আর্থিক মুক্তি রইলো দূরের বাদ্যি হয়ে, মানবিক ও কল্যাণ রাষ্ট্র কেবল ইউটোপিয়া হিসেবেই থেকে গেল এই ভূখণ্ডের মানুষের কাছে, এসবের পেছনে কি স্বাধীনতার পূর্বে যারা যে লড়াই জারি রেখেছিলেন সেই লড়াই বৃন্তচ্যুত হয়ে, কেটেছেঁটে বনসাই করা হয়েছে বলে?

বিপ্লবকে যদি প্রতিবিপ্লব বাধাগ্রস্ত করে, মোড় ঘুরিয়ে দেয়, তাহলে বিপ্লবের কারিগররা কি বিপ্লবের বর্ণমালা আর ধারাপাত পাঠে কার্পণ্য করেছে কিনা সেই প্রশ্ন মুখ্য হয়ে ওঠে নিশ্চয়।

ব্যক্তি মানুষের ব্যক্তিক অর্জন, সংসার-স্বজন, অসহায়ত্ব, আর্থিক দুর্গতি, অনিশ্চয়তা এসব কি বৃহত্তর মানুষের মুক্তির পক্ষে বাধা, নাকি সবকিছু নিয়েই মানুষের মুক্তির সাধনা করতে না পারার ব্যর্থতা। খোয়াজ খিজিরের চশমায় আমরা একজন আব্দুল গাফফার চৌধুরীকে দেখলে কেবল একুশের গানের স্রষ্টা হিসেবে কেবল নয়-এসব প্রশ্ন নিয়েই দেখতে পায়। যিনি ভাষা শহীদের রফিকের রক্তাক্ত লাশ দেখে কল্পনা করতে-পারেন নিজের ভাই বলে, সেই কল্পনার শক্তি শেষ জীবন পর্যন্ত কতোটা জারি ছিল মানুষের কল্যাণে-মানুষের ক্যানভাসে-মানুষের ব্যানারে-গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকাশে, খোয়াজ খিজিরের চশমা, সেই প্রশ্নের মুখোমুখি করে আমাদের!  

Comments

The Daily Star  | English

Results of DU admission tests of all units published

There was a pass rate of 8.89 percent in A unit [Science] , 10.07 percent in B unit, 13.3 percent in C unit (Business), and 11.75 percent in Cha Unit (Fine Arts)

33m ago