মৃত্যু বেড়েছে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে

করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরণ বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট গত ৮ মে দেশে শনাক্ত হওয়ার পর থেকে প্রতি ঘণ্টায় গড়ে প্রায় পাঁচ জন করে মারা যাচ্ছেন। এমনই জানা যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য থেকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৮ মে থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত মোট ১০ হাজার ৩৭১ জন মারা গেছেন। যার অর্থ গড়ে প্রতি ঘণ্টায় মারা গেছেন চার দশমিক ৭২ জন।
অথচ, গত বছর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্ত হওয়ার পর থেকে গত ৭ মে পর্যন্ত মারা গেছেন ১১ হাজার ৮৩৩ জন। সে হিসেবে প্রতি ঘণ্টায় গড় মৃত্যু এক দশমিক ১৮ জন।
গতকাল পর্যন্ত দেশে করোনায় আক্রান্ত মোট ২২ হাজার ১৫০ জন মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আগের সব ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট অধিক সংক্রামক বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে 'উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট' হিসেবে অভিহিত করেছে।
বাংলাদেশে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে অব্যাহত মৃত্যু বৃদ্ধির পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও।
চলমান লকডাউনের মধ্যে হঠাৎ করেই রপ্তানি মুখী কারখানা খুলে দেওয়ায় তারা সরকারের সমালোচনা করে বলছেন, এতে করে লকডাউনের উদ্দেশ্য খুব বেশি সফল হয়নি।
গণপরিবহন চালু না করে হঠাৎ করেই গত ১ আগস্ট কারখানা খুলে দেওয়ার ঘোষণায় লাখো শ্রমিককে তাদের কর্মস্থল ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ বা গাজীপুরে ফিরতে হয়েছে।
লকডাউনের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় তাদের অধিকাংশই দুর্ভোগে পড়েন রাস্তায়। ফলে তাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানা ছিল অসম্ভব ব্যাপার।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, সরকারকে অবশ্যই দেশের সব মানুষকে দ্রুত টিকা দিতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে যে মানুষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে। অন্যথায়, সামনে 'বড় বিপর্যয়' আছে।
সরকারের কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, 'সরকারের উচিত টিকা কার্যক্রম বৃদ্ধি করা এবং যত বেশি সম্ভব মানুষকে টিকা দেওয়া।'
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাও সমান গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, 'মানুষকে অবশ্যই বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে এবং করোনা পরীক্ষাও বাড়াতে হবে।'
Comments