মেক্সিকোতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন

জন্ম ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, বাণিজ্য এবং অগ্রযাত্রা তুলে ধরার মাধ্যমে মেক্সিকোতে উদযাপিত হয়েছে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস।
বাংলাদেশ মেলা, কূটনীতিক সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ সপ্তাহব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ দূতাবাস।
ধারাবাহিক কর্মসূচির শেষ হয় ৩১ মার্চ। দেশটির রাজধানী মেক্সিকো সিটির হোটেল শেরাটনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের সদস্য (চেম্বার অব ডেপুটিস) এবং মেক্সিকো-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের প্রেসিডেন্ট রোজালিন্ডা ডমিনগুয়েজ ফ্লোরেস এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে মেক্সিকোর সিনেটর, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, মেক্সিকান ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি চিত্রকর্ম, রপ্তানিযোগ্য পণ্য এবং হস্তশিল্প প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি তার বক্তব্যে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও লিঙ্গ ক্ষমতায়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে ২ দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করবার আশা ব্যক্ত করেন।
স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং জাতির জন্য তাদের সর্বোচ্চ ত্যাগের কথা উল্লেখ করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, 'মেক্সিকোতে বাংলাদেশ একেবারেই নতুন, আমরা এখানে এসেছি মাত্র ৮ বছর। এখনও অনেকের জানা নেই আমাদের দেশ সম্পর্কে। তাই মেক্সিকানদের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ বাড়াতে চাই এবং আমাদের সংস্কৃতি, ঐতিহ্যের ও খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে চাই। যাতে তারা বাংলাদেশকে জানে, বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে জানে।'
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী।
এর আগে ২৬ ও ২৭ মার্চ রাজধানীর লিংকন পার্কের নেলসন ম্যান্ডেলা কালচারাল স্পেস অ্যান্ড এসপ্ল্যানেডে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বর্ণাঢ্য 'বাংলাদেশ মেলা'র আয়োজন করা হয়।
মিগেল হিদালগোর মেয়রের দপ্তরের সহায়তায় আয়োজিত মেলায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পোশাক, হস্তশিল্প, দেশের রপ্তানিযোগ্য পণ্যসহ (সিরামিক, চামড়া, পাট, চা ইত্যাদি) বাণিজ্য সুবিধাদি ও পর্যটন সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদি উপস্থাপন করা হয়।
মেলায় প্রদর্শিত বাংলাদেশি বিখ্যাত শিল্পীদের ১০টি চিত্রকর্মের পাশাপাশি মেহেদি সাজ এবং মেক্সিকো সিটিতে বাংলাদেশি মালিকানাধীন 'ঢাকা বিরিয়ানি'র ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি খাবার দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।
এ ছাড়া নিউইয়র্কপ্রবাসী বাংলাদেশি নৃত্য শিল্পী মাজেদ লোদি ও ফারজানা জাবিন জ্যোতির নৃত্য পরিবেশনা দর্শনার্থীদের বিমোহিত করে।
আজারবাইজান, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, নাইজেরিয়া, এল সালভাদর এবং ফিনল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত, মেক্সিকোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, মেয়র দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষাবিদসহ ৩ হাজারের বেশি দর্শনার্থী বাংলাদেশ মেলা পরিদর্শন করেন।
Comments