সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত অর্ধশতাধিক

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাড়িতে দু'গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫০ জন। ঘণ্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
শাহজাদপুর উপজেলার বাঘাবাগিড়তে কোকিল মোল্লা, মিন্টু মোল্লা গ্রুপের সঙ্গে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব বিরোধের জেরে বুধবার দুপুর থেকে প্রায় বিকাল পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে কিছু বাড়িঘরও ভাঙচুর করা হয়।
সংঘর্ষে নিহত মো. ইয়ামিন (৩৪) বাঘাবাড়ির ইউনুস আলির ছেলে এবং মোল্লা গ্রুপের সমর্থক।
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহেদ মাহামুদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাঘাবাড়িতে মোল্লা গ্রুপের সঙ্গে লতিফ গ্রুপের দীর্ঘদিন আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে ইউসুফ গ্রুপের ২ জনকে মোল্লা গ্রুপের লোকজন মারধর করে। এর জের ধরে বুধবার দুপুরে দু'পক্ষ বাঘাবাড়ি এলাকায় মুখোমুখি হলে সংঘর্ষ বেধে যায়।'
ওসি আরও বলেন, 'সংঘর্ষ দ্রুত পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে। দু'পক্ষের নারী-পুরুষ সবাই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা করে। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কিছু বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।'
'সংঘর্ষে ইয়ামিন ঘটনাস্থলে আহত হয় এবং হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের নারী-পুরুষ হ অর্ধশতাধিক আহত হয়। আহতরা পুলিশের নজর এড়িয়ে বিভিন্ন এলাকায় চিকিৎসা নিচ্ছেন,' বলেন ওসি।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, 'পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১০-১২ জনকে আটক করেছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে।'
এ বিষয়ে জানতে কোকিল মোল্লা, মিন্টু মোল্লা এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফের মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলেও তাদের নম্বরটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
Comments