নেটের গতি ধরে রাখুন
ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাবেন অনেকেই। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরে অন্য শহর বা গ্রামে ইন্টারনেটের গতি এক নয়। তা সে মোবাইল ফোনেই হোক বা ল্যাপটপে, ট্যাবে।
কিছু কৌশল জানা থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের গতি একটু হলেও বাড়ানো যায়।
১ ইন্টারনেট সংযোগ পরীক্ষা করুন
ইন্টারনেটের গতি পরীক্ষা করার অ্যাপ যেমন স্পিডটেস্ট ব্যবহার করে দেখে নিতে পারেন বর্তমান ইন্টারনেটের গতির অবস্থা। গতি অনেকটা নির্ভর করে বেশি ব্যবহার, পিক আওয়ারে ব্যবহার, নেটওয়ার্ক এবং কী ধরনের ইন্টারনেট সংযোগ (ডেটা প্ল্যান) নিয়েছেন তার ওপর। ওয়াই-ফাই বা মোবাইল নেটওয়ার্ক, যেটাই ব্যবহার করেন না কেন দেখতে হবে এর সিগন্যাল ঠিকমতো পাচ্ছেন কি না।
২ ফোন ক্যাশ পরিষ্কার করুন
আপনার ফোনের মেমোরি ও ক্যাশ মেমোরি পরিষ্কার করেও মোবাইল ইন্টারনেটের গতি বাড়াতে পারেন। ফোনের মেমোরির পরিবর্তে এসডি কার্ড বা অনলাইনে ড্রপবক্স, গুগল ড্রাইভের মতো সেবা ব্যবহার করতে পারেন। মোবাইলের ক্যাশ মেমোরি যখন ভরা থাকে, যন্ত্রটিও তখন ধীরগতির হয়ে যায়, আর এ জন্য ইন্টারনেটের গতিও কমে যায়।
৩ অব্যবহৃত অ্যাপ ফেলে দিন
অনেক অব্যবহৃত অ্যাপ ফোনের কর্মক্ষমতা কমিয়ে ফেলে, যা ইন্টারনেটের গতির ওপর প্রভাব ফেলে। তাই অব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন ফেলে দিন (আনইনস্টল)।
৪ সঠিক নেটওয়ার্ক
টুজি নেটওয়ার্কের পরিবর্তে থ্রিজি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করুন। এতে গতি বাড়বে।
৫ নেটওয়ার্ক সেটিংস
আপনার ফোনের নেটওয়ার্ক সেটিংসে গিয়ে দেখুন সঠিক নেটওয়ার্কে যুক্ত আছে কি না। এটি শুধু টুজি বা থ্রিজির নেটওয়ার্কের সঙ্গে সীমাবদ্ধ নয়। অনেক মোবাইলের ক্ষেত্রে নেটওয়ার্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে GSM/WCDMA/LTE নির্ধারিত হয়। যদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারণ না হয় তাহলে ম্যানুয়ালি নেটওয়ার্ক নির্বাচন করুন। আপনি যদি থ্রিজি ব্যবহারকারী হন তাহলে নেটওয়ার্ক টাইপ WCDMA বা 3G রাখুন।
৬ ব্রাউজার টেক্সট মোডে রাখুন
আপনার ছবির প্রয়োজন না হলে ব্রাউজার টেক্সট মোড হিসেবে রাখতে পারেন।
৭ ফাস্ট ওয়েব ব্রাউজার
ইন্টারনেটের ভালো গতির জন্য ফাস্ট ওয়েব ব্রাউজার যেমন: অপেরা মিনি, ইউসি বা ক্রোম ব্রাউজার ব্যবহার করতে পারেন এবং নিয়মিত হালনাগাদ করুন।
৮ স্পিড বুস্ট অ্যাপ ব্যবহার করুন
ইন্টারনেটের গতি বাড়ানোর জন্য কিছু অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন যেমন: ইন্টারনেট বুস্টার অ্যান্ড অপটিমাইজার, ফাস্টার ইন্টারনেট ২এক্স, ইন্টারনেট স্পিড বুস্টার ইত্যাদি।
৯ অটো সিঙ্ক বন্ধ করুন
কিছু অ্যাপ যেমন ই-মেইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিংক হতে থাকে, এসব অ্যাপের অটো সিঙ্ক সুবিধা নিষ্ক্রিয় করে রাখতে পারেন। আবার কিছু অ্যাপ স্বয়ংক্রিয়ভাবে হালানাগাদ হতে থাকে, এগুলোর অটো আপডেটও বন্ধ রাখতে পারেন।
Comments