আম-জনতার আমির খান

Aamir
আমির খান, জন্ম ১৪ মার্চ, ১৯৬৫

আমিরের ছবি নিয়ে অনায়াসেই বাজি ধরা যায় – ছবিটি সফল হবে, আম-জনতার হৃদয় ছোঁবে – সমালোচকদের বাহবা পাবে – আর, আমির আরও ‘আমির’ হবেন।

সাধারণ মানুষের সেই মহানায়ক আমির খানের জন্মদিন আজ। ১৯৬৫ সালের এই দিনে মুম্বই শহরে চলচ্চিত্র প্রযোজক তাহির হোসেন ও জিনাত হোসেনের ঘর আলোকিত করেছিলেন বলিউডের সুপারস্টার মোহাম্মদ আমির হোসেন খান – রূপালি পর্দার আমির খান।

১৯৭০ এর দশকে বাবা তাহির হোসেনকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি পুনের ফিল্ম ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীদের বানানো প্রামাণ্যচিত্রে অভিনয় করতেন আমির।

১৯৮৪ সালে পরিচালক কেতন মেহতা আমিরকে আমন্ত্রণ জানান একটি কম-বাজেটের ছবি ‘হোলি’-তে অভিনয় করার জন্য।

এক দঙ্গল নবাগতের আর্বিভাব ঘটেছিল মহেশ এলকুনশ্বরের নাটক অবলম্বনে নির্মিত ‘হোলি’ ছবিটিতে।

দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের মতে, ‘হোলি’ ছবিটি ‘মেলোড্রামাটিক’ ছিল; “এতে ছিল অপেশাদার শিল্পীদের অসামান্য অভিনয়।” তবে, আমির অভিনয় করেছিলেন ছোট-খাটো গুরুত্বহীন এক বখাটের কলেজ ছাত্রের ভূমিকায়।

যে হোলির চাঁদে আমিরের জন্ম, সেই ‘হোলি’-ই দেখিয়ে দিলো মহাতারকা হওয়ার পথ। আমিরের অভিনয় দেখে প্রযোজক চাচা নাসির হোসেন ও পরিচালক চাচাতো ভাই মনসুর তাঁকে কাস্ট করলেন ‘কিয়ামত সে কিয়ামত তক’ ছবির জন্য।

এরপর, শুধু ওপরে ওঠা। চলার পথে দর্শকদের উপহার দিলেন ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’ (১৯৮৮), ‘পরম্পরা’ (১৯৯২), ‘রঙ্গিলা’ (১৯৯৫), ‘রাজা হিন্দুস্তানি’ (১৯৯৬), ‘ইশক’ (১৯৯৭), ‘গোলাম’ (১৯৯৮), ‘সারফারোশ’ (১৯৯৯), ‘লগন’ (২০০১), ‘রঙ দে বসন্তী’ (২০০৬), ‘গজনি’ (২০০৮), ‘থ্রি ইডিয়টস’ (২০০৯), ‘পিপলি লাইফ’ (২০১০), ‘ধুম থ্রি’ (২০১৩), ‘পিকে’ (২০১৪) এবং সব শেষে ‘দঙ্গল’ (২০১৬)।

আমির কাজের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রীয় পদক ‘পদ্মশ্রী’ (২০০৩) ও ‘পদ্মভূষণ’ (২০১০)। আর ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড তো রয়েছেই।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago