সারাদেশে ১৬ দিনের চলচ্চিত্র উৎসব
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৪টি জেলায় একযোগে ১৬ দিনব্যাপী “বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব”-এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগ।
এ উৎসব আজ (৬ অক্টোবর) শুরু হয়ে চলবে ২১ অক্টোবর পর্যন্ত।
সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর আজ বিকেল ৫টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজা মিলনায়তনে এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এরপর, নির্মাতা রিয়াজুল রিজুর চলচ্চিত্র “বাপজানের বায়স্কোপ” প্রদর্শিত হবে।
গতকাল দুপুরে জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী এ কথা জানান।
একাডেমি দ্বিতীয়বারের মতো এ উৎসবের আয়োজন করছে উল্লেখ করে একাডেমির মহাপরিচালক বলেন, সৃজনশীল ও মানবিক-মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠনে এবং জনসাধারণের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করতে চলচ্চিত্রের ভূমিকা অপরিসীম। দেশীয় চলচ্চিত্রের বিকাশ, উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু ও নির্মল চলচ্চিত্র আন্দোলনে শিল্পকলা একাডেমির এ আয়োজন সফল ও সার্থক হবে বলেও তিনি প্রত্যাশা করেন।
উৎসবের ১৬ দিনে ঢাকাসহ দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে ৪৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে উল্লেখ করে লাকী বলেন, উদ্বোধনী সন্ধ্যা ব্যতীত রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন বিকেল ৩টা, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ৩টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
তিনি বলেন, এবারের উৎসবে সাত সদস্য বিশিষ্ট সিলেকশন কমিটির মাধ্যমে ৫টি বিভাগে - বাংলাদেশ ধ্রুপদী চলচ্চিত্র, আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বা পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র, সমকালীন দেশীয় চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) এবং নারী নির্মাতাদের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
লাকী বলেন, উৎসবে জমাকৃত সমকালীন চলচ্চিত্র (২০১৫-২০১৬) থেকে ১১টি চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে প্রদর্শনীর জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ ১১টি চলচ্চিত্র থেকে ৩টি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হবে। বিভাগগুলো হলো: শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র (দুই লাখ টাকা), শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা (১ লক্ষ টাকা) এবং বিশেষ জুরি পুরস্কার (৫০ হাজার টাকা)। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ্উদ্দিন শাকেরকে চেয়ারম্যান করে সাত সদস্যবিশিষ্ট একটি জুরি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একাডেমির মহাপরিচালক আরো বলেন, “সবার জন্য চলচ্চিত্র, সবার জন্য শিল্প-সংস্কৃতি” স্লোগান সম্বলিত এ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান হবে আগামী ২১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় জাতীয় চিত্রশালা প্লাজা মিলনায়তনে। সেখানে উৎসবের পুরস্কার বিতরণ ও অংশগ্রহণকারী সকল চলচ্চিত্র নির্মাতাকে সনদপত্র প্রদান করা হবে।
এ সময় আরো বক্তৃতা করেন উৎসবের জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মসিহ্উদ্দিন শাকের, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ, চলচ্চিত্র নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গবেষক ড. সাজেদুল আউয়াল, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি এবং শিল্পকলা একাডেমির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী।
Comments