১২ বছর ধরে এই দিনটার অপেক্ষায় ছিলেন তিনি

এমন একটা দিনের অপেক্ষাতেই তো ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সেই ২০০৪ সাল থেকে, এক যুগ ধরে! আজ থেকে ১২ বছর আগে, লিসবনের সেই বেদনাবিধুর সন্ধ্যায় ঈশ্বরের কাছে আর একটা সুযোগ চেয়েছিলেন। পরিষ্কার ফেবারিট হওয়া সত্ত্বেও সেবার ফাইনালে গ্রিসের কাছে হেরে যাওয়ার মর্মবেদনা ভুলতে পারছিলেন না। কিশোর রোনালদোর হু হু কান্নার ছবি আজও চোখে ভাসে অনেকের।

এমন একটা দিনের অপেক্ষাতেই তো ছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, সেই ২০০৪ সাল থেকে, এক যুগ ধরে!
আজ থেকে ১২ বছর আগে, লিসবনের সেই বেদনাবিধুর সন্ধ্যায় ঈশ্বরের কাছে আর একটা সুযোগ চেয়েছিলেন। পরিষ্কার ফেবারিট হওয়া সত্ত্বেও সেবার ফাইনালে গ্রিসের কাছে হেরে যাওয়ার মর্মবেদনা ভুলতে পারছিলেন না। কিশোর রোনালদোর হু হু কান্নার ছবি আজও চোখে ভাসে অনেকের।
ঈশ্বর তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর করেছেন। ইউরোপ–সেরা হওয়ার আরও একটা সুযোগ তিনি পর্তুগালকে দিয়েছিলেন, যে পর্তুগালের সঙ্গে রোনালদোর সত্তা মিলেমিশে একাকার। এবারও ফাইনালে মনে হচ্ছিল কান্না দিয়েই শেষ হবে। চোট নিয়ে যখন অনেক আগে মাঠ থেকে বেরিয়ে এলেন। কাঁদতে কাঁদতেই!
সেই কান্না অবশেষে পূর্ণতার হাসি হয়ে গেছে। ম্যাচ শেষে ১২ বছর আগের প্রসঙ্গ টেনে রোনালদো বললেন, ‘এই সাফল্যে আমি খুব খুশি, সত্যিই খুশি। এই উপলক্ষের জন্য আমি এক যুগ অপেক্ষা করেছি। সেই ২০০৪ সাল থেকে। আমি ঈশ্বরকে বলেছিলাম, তিনি যেন আমাদের আরও একটা সুযোগ দেন। তিনি দিয়েছেন।’
বললেন, ‘ইউরোর এই সাফল্য পর্তুগালের মানুষের প্রাপ্য। পর্তুগালের খেলোয়াড়দের প্রাপ্য।’ 

মাঠে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারলে আরও ভালো লাগত নিশ্চয়ই। এই আক্ষেপটা থাকছেই, ‘দুঃখের বিষয় হলো, দিনটা আমার জন্য মোটেও ভালো হলো না। ম্যাচ শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই চোট পেয়ে উঠে যেতে হলো। তবে আমার বিশ্বাস ছিল দলের খেলোয়াড়দের ওপর। তাদের প্রতিভা আছে, সামর্থ্য আছে। সবচেয়ে বড় কথা, কোচ দারুণ একটা কৌশলে খেলিয়েই জয়টা তুলে নিয়েছেন।’
চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে। ব্যালন ডি’অর জিতেছেন তিনবার। কিন্তু দেশের হয়ে ইউরো জয়ের মুহূর্তটিকেই ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত বললেন, ‘আমার ফুটবল ক্যারিয়ারের সবচেয়ে আনন্দময় মুহূর্ত এটি। ফ্রান্সকে হারিয়ে আমরা এই মুহূর্তটি পেয়েছি। আমি উচ্ছ্বসিত।’
ঈশ্বরের প্রতিও কৃতজ্ঞতা ঝরেছে তাঁর কণ্ঠে, ‘আমি সব সময় জাতীয় দলের হয়ে এমন একটা শিরোপা জিততে চেয়েছিলাম। সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ, এবার সবকিছুই আমাদের পক্ষে যাওয়ায়।’

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago