২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ১৫ লাখ কোটি টাকা মোট ঋণের প্রায় ৩২ শতাংশই দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ। এ পরিসংখ্যান এক বছর আগের চেয়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকা বা ২৬ শতাংশ বেশি।
উচ্চ আমদানি বিল, প্রত্যাশার চেয়ে কম রেমিট্যান্স ও রিজার্ভ কমে যাওয়ায় ডলার সংকটের কারণে আন্তঃব্যাংক মুদ্রার বাজার অনেক দিন থেকেই বিশাল চাপে ছিল।
সালমান এফ রহমান দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকটি থেকে ঋণ ও বন্ডের মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুন মাসে ইসলামি ব্যাংকগুলোতে মোট আমানতের পরিমাণ মে মাসের তুলনায় ১১ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা বা দুই দশমিক ৭১ শতাংশ বেড়ে চার লাখ ৪০ হাজার ৪২৭...
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথি অনুযায়ী, অগ্রণী ব্যাংক ওরিয়ন ফার্মার মোট ১ হাজার ৩৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকার ঋণের মধ্যে ১৩২ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ পুনঃতফসিল করা হয়। একইসঙ্গে এই ঋণ পরিশোধের সময়সীমা ছয় বছর বাড়ানো...
এই ঋণের পরিমাণ গত মার্চ পর্যন্ত ব্যাংকিংখাতের মোট বকেয়া ঋণের পাঁচ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
জনতার সাধারণ বীমা ভবন চট্টগ্রাম কর্পোরেট শাখা থেকে এস আলম গ্রুপকে আট হাজার ২১৬ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে।
‘আমাকে মাত্র ১০ হাজার টাকা তোলার সুযোগ দেওয়া হয়। পারিবারিক প্রয়োজনে ৪০ হাজার টাকার দরকার বলে বারবার ব্যাংক কর্মকর্তাদের অনুরোধ করি। তারা তা মানেননি। বাকি টাকা কীভাবে জোগাড় করব বুঝতে পারছি না।’
নগদ টাকার সংকটে বেশিরভাগ বুথ বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
‘প্রায় ১০টি বুথ ঘুরেছি কোথাও টাকা তুলতে পারেননি। কোনো বুথ দেখাচ্ছিল টাকা নেই। কোনো বুথ অন্য ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিচ্ছে না।’
ব্যাংকাররা বলেন, যেসব এলাকায় ঝুঁকি বেশি সেসব এলাকার আউটলেট ও এটিএম বুথ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ বেড়ে যাওয়ার দুটি বড় কারণের একটি হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী বাজারভিত্তিক সুদের হার বেড়ে যাওয়া।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশ রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হলেও ইতোমধ্যে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে।
‘ইসলামী ব্যাংকের সব ব্যাংকিং কার্যক্রম ধর্মীয় বিধি মেনে চালানো হয়—এমন নিশ্চয়তা পেয়েই আমি সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলি।’
চলতি মাসে শুরু হওয়া নতুন অর্থবছরে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকা লোকসান গুনবে সরকারি সংস্থাগুলো।
মূলত ঋণ বিতরণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় তারল্য সংকটে পড়েছে দেশের শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলো।
অনেকে অবৈধভাবে আরব আমিরাতে টাকা পাচার করে সেখানে বিনিয়োগ করেছেন বলে অভিযোগ আছে।
‘ছিনতাইয়ের ঝুঁকির মধ্যে নগদ টাকা নিয়ে হাটে যেতে ইচ্ছা করে না।’