নাসা গ্রুপের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য

১৮ ডিসেম্বর দ্য ডেইলি স্টারে প্রকাশিত '৪ গ্রুপকে ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ, তথ্য জেনেও নীরব ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক' শীর্ষক প্রতিবেদনের একটি অংশের প্রতিবাদ জানিয়েছে নাসা গ্রুপ।
নাসা গ্রুপের পাঠানো এ সংক্রান্ত এক প্রতিবাদলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, '১৮ ডিসেম্বর The Daily Star পত্রিকার বাংলা অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত "৪ গ্রুপকে ২১ হাজার কোটি টাকা ঋণ, তথ্য জেনেও নীরব ছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক" শীর্ষক সংবাদটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এক্সিম ব্যাংক ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে জড়িয়ে এ ধরনের ভিত্তিহীন, ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।'
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, 'আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারের মালিকানাধীন নাসা গ্রুপের বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৫০ হাজার কর্মী কাজ করছে। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে তিনি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। গত ৩৩ বছরে নাসা গ্রুপ প্রায় ৩ থেকে ৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার কোটি টাকা।'
প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, 'নজরুল ইসলাম মজুমদার বিগত ৩৩ বছর ধরে ইসলামী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের সঙ্গে সুষ্ঠুভাবে সুনামের সাথে ব্যাংকিং করে যাচ্ছেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি কোনও ব্যাংকেই ঋণখেলাপী হননি এবং নাসা গ্রুপ গত ১২ বছর ধরে ইসলামী ব্যাংকের অন্যতম শীর্ষ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান। তার ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্যেই ইসলামী ব্যাংক তৈরি পোশাক শিল্পের বিভিন্ন মেশিনারিজ ক্রয়ের জন্য চলতি মূলধন এবং প্যাকিং ক্রেডিট (পিসি) প্রদান করেছে।
'অতএব প্রকাশিত এই সংবাদে জনাব মজুমদারকে কোনোভাবেই জড়িত করার সুযোগ নেই বলে আমরা মনে করি। আমরা আরও মনে করি, জনাব মো. নজরুল ইসলাম মজুমদারকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য কোনো স্বার্থান্বেষী মহলের প্ররোচনায় এই প্রতিবেদনে তাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় দ্য ডেইলি স্টারের বাংলা অনলাইন সংস্করণের হোম পেইজে এই প্রতিবাদটি আপলোড করার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।'
প্রতিবেদকের বক্তব্য
দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবদনে এক্সিম ব্যাংক ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিষয়ে যেসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে তার পুরোটাই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট থেকে নেওয়া। তার খেলাপি ঋণের তথ্যও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিপোর্ট থেকেই নেওয়া হয়েছে। বাংলাদশ ব্যাংকের প্রতিবেদনের বাইরে নজরুল ইসলাম মজুমদারের বিষয়ে বাড়তি কেনো তথ্য দ্য ডেইলি স্টারের রিপোর্টে নেই।
Comments