প্রত্যাশা কতটা পূরণ করল ‘মেসি মিটস আমেরিকা’

ফুটবলের খবরাখবর যারা রাখেন, তাদের অনেকেই জানেন, অ্যাপল টিভি প্লাস একটি ডকুসিরিজের আয়োজন করেছে। যাকে ঘিরে এই সিরিজ তিনি আর কেউ নন, আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী লিওনেল মেসি। মোট ৬ জন প্রডিউসারের প্রযোজনায় ৬ পর্বের সিরিজের ৩টি পর্ব প্রকাশ পেয়েছে গত ১১ অক্টোবর।
উপস্থাপনায় ছিলেন মেসি, এবং বিভিন্ন সময় তার ক্লাবমেট, স্ত্রী, সন্তান, কিংবদন্তী ফুটবলারদের কারো কারো কথা শুনতে পাওয়া যায়। ৬ পর্বের আয়োজনকে ৬টি নামে ডাকা হয়। দ্য মেসি ইরা, দ্য মেসি ইফেক্ট, মেইকিং হিস্টরি, রোড ট্রিপ, দ্য লিগেসি এবং দ্য ফিউচার।
অনুষ্ঠানটি প্রচারের পর থেকে বিনোদনের পাশাপাশি নানাবিধ সমালোচনারও ঘ্রাণ পাওয়া যাচ্ছে। কেননা, একজন কিংবদন্তী ফুটবলারকে ফিচার করতে গেলে যে সমস্ত প্রশ্ন বা দর্শকদের যে বিষয়গুলোতে আগ্রহ থাকে, তার খুব বেশি কিছু চোখে পড়েনি। বরং, খুবই সোজাসাপ্টা এবং কোনো প্রকার সমালোচনা হতে পারে এমন প্রশ্নের বাইরে গিয়ে কিছু গতানুগতিক প্রশ্ন করা হয়, যাতে মেসির জীবনের নতুন কিছু জানতে খুব একটা সাহায্য করে না।
মেসির বিশেষত্ব আসলে কী, মেসির খেলা দর্শকদের মনোজগতে কতটা প্রভাব ফেলে, ফুটবলকে তিনি কীভাবে বদলে দিয়েছেন কিংবা ইন্টার মিয়ামিতে তিনি কীভাবে অবদান রাখবেন—এ-জাতীয় প্রশ্নের উত্তর মেসি মাঠে তার দক্ষতা দিয়ে বলে দেন। কিন্তু এগুলোর বাইরে মেসিকে প্রশ্ন করা যেতো, বার্সেলোনা ক্লাব নিয়ে, কর সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে, কিংবা কেন তিনি ইন্টার মিয়ামির মতো একটি নতুন ক্লাবে যোগ দিলেন।
মেসির মতো খেলোয়াড়কে বিচার করা সহজ বিষয় নয়। তবু, জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা এই খেলোয়াড়কে ঘিরে মানুষের আগ্রহ তুমুল। মেসি নিজেও নিশ্চয়ই আরও গভীর প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার দাবি রাখে।
মিয়ামির প্রধান কর্তাব্যক্তি ডেভিড ব্যাকহাম যে সুরে সিরিজিটিতে কথা বলেছেন, তাতে যে কারো মনে হতে পারে, অনুষ্ঠানটি আসলে তার ক্লাবকে প্রমোট করার জন্য। সিরিজটির শিরোনাম ইঙ্গিত করে; এটি একটি লাইসেন্সকৃত পণ্যের চাইতে বেশি কিছু নয়।
তবে যাই হোক না কেন, 'মেসি মিটস আমেরিকা' মানুষকে নিশ্চয়ই বিনোদিত করবে। অনুষ্ঠানটি সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার প্রচারিত হয়। অ্যামেজনের সাবস্ক্রিপশন নিয়ে সিরিজটি দেখা যাবে।
তথ্যসূত্র: অ্যাপল টিভি প্লাস, সিএনএন, আইএমডিবি
গ্রন্থনা: সঞ্জয় দত্ত
Comments