হিন্দি সিনেমা আমদানির পক্ষে নায়ক রিয়াজ

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, রিয়াজ, নিপুণ, ইলিয়াস কাঞ্চন, হিন্দি সিনেমা,
চিত্রনায়ক রিয়াজ। ছবি: শেখ মেহেদী মোর্শেদ

বাংলাদেশে হিন্দি সিনেমা আমদানিতে আজ শনিবার দুপুরে বিএফডিসিতে জরুরি বৈঠক ডেকেছিল চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ, নায়ক রিয়াজ, ফেরদৌস ও নায়ক আলমগীরসহ অনেকে।

শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে হিন্দি ও বিদেশি সিনেমা আমদানির পক্ষে একটি সিদ্ধান্ত প্রাথমিকভাবে নেওয়া হয়েছে। চলচ্চিত্রের আরও ১৯ সংগঠন সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত বাকি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে হবে বলে জানা গেছে।

শিল্পী সমিতির আজকের বৈঠকে উপস্থিত থাকা নায়ক রিয়াজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'আজ দুপুরে শিল্পী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিদেশি সিনেমা আনার পক্ষে কথাবার্তা হয়েছে। আগে আমাদের দেশে সিনেমা হলের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২০০ মতো। এখন তা কমতে কমতে ৫০-এ এসে দাঁড়িয়েছে। সিনেমাহল বাঁচলে প্রযোজক, পরিচালক, অভিনয়শিল্পীসহ অন্যরা বাঁচবে বলে আমার ধারণা।

সিনেমাহল বাঁচাতে সুপারহিট কনটেন্ট দিতে হবে। মানুষকে ফোন থেকে বের করে সিনেমাহলে আনতে হবে। এই অভ্যাস তৈরি হলে মানুষ সিনেমাহলে আসা শুরু করবে। দেশেই বাইরের সিনেমা দিয়ে সেই অভ্যাস তৈরি হোক। এমন হলে ধীরে ধীরে হলের সংখ্যা বাড়তে থাকবে।

'সিনেমাহল বাঁচাতে সুপারহিট কনটেন্ট দিতে হবে। মানুষকে ফোন থেকে বের করে সিনেমাহলে আনতে হবে। এই অভ্যাস তৈরি হলে মানুষ সিনেমাহলে আসা শুরু করবে। দেশেই বাইরের সিনেমা দিয়ে সেই অভ্যাস তৈরি হোক। এমন হলে ধীরে ধীরে হলের সংখ্যা বাড়তে থাকবে। দেশের অনেকেই এখন সিনেমা বানাচ্ছেন না, কারণ সিনেমাহল বন্ধ হয়ে গেছে। তারা আবার সিনেমা নির্মাণে আসবে। এখন সিনেমা বানিয়ে শুধুমাত্র ৩০ সিনেমা হলে চালালে তো প্রযোজকের অর্থ উঠবে না। যদি বিদেশি সিনেমা চালিয়ে সিনেমাহলের সংখ্যা বাড়ে তাতে সমস্যা দেখছি নাতো। আমাদের এখানে বিদেশি সিনেমা এলে সুন্দর প্রতিযোগিতা তৈরি হবে বলে আমি মনে করি' বলেন তিনি।

রিয়াজ আরও বলেন, 'আমরা যদি শর্তসাপেক্ষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দেশের বাইরের সিনেমা আনতে সহযোগিতা করি। তাতে যদি সিনেমাহলে মানুষ আসে, হলের সংখ্যা বাড়তে থাকে, তাহলে আমাদের জন্যই ভালো হবে। আগামীতে  হয়তো আমাদের সিনেমা ইন্ড্রাস্ট্রি দাঁড়িয়ে যাবে। যারা সিনেমা বানাবেন তারাও এর সুফল পাবেন। এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মানুষজন জানে কারা এসব বিদেশি সিনেমার বিরোধিতা করছেন। এখন তাদের অবস্থান কী। আমি আলাদা করে 'পাঠান' সিনেমার কথা বলতে চাচ্ছি না। সব ধরনের বিদেশি সিনেমা আসুক। তাতে যদি সিনেমাহল বাঁচে, সিনেমাহলের সংখ্যা বাড়ে সেটাই হবে আমাদের বড় পাওয়া।'

Comments

The Daily Star  | English
Rohingyas hurt in clash in Teknaf

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

11h ago