বরগুনায় সংরক্ষিত বনে আগুনে পুড়ল বেশ কিছু গাছ

আশঙ্কা করা হচ্ছে, শতাধিক গাছ মরে যেতে পারে।
বরগুনায় সংরক্ষিত বনে আগুনে পুড়ল বেশ কিছু গাছ
বরগুনার তালতলী উপজেলায় সংরক্ষিত টেংরাগিরি বনে অগ্নিকাণ্ড | ছবি: স্টার

বরগুনার তালতলী উপজেলায় সংরক্ষিত টেংরাগিরি বনে অগ্নিকাণ্ডে বেশ কিছু গাছ পুড়ে গেছে।

প্রায় ১৭ ঘণ্টা পরে আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয় জেলেদের সহযোগিতায় বন বিভাগ আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।

গতকাল সন্ধ্যা ৬টার দিকে সংরক্ষিত টেংরাগিরি বনের বেহুলা অংশে আগুন ধরে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুন দেখে বন বিভাগকে জানানো হলেও তারা তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় স্থানীয় জেলেরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে আগুনে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা জানায়নি বন বিভাগ।

বন বিভাগের তালতলী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিয়ার রহমান বলেন, 'কোন স্থানে আগুন লেগেছে প্রথমে আমরা তা নির্ণয় করতে পারিনি। সকালে নিশ্চিত হয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছি।'

তিনি বলেন, 'এ বিষয়ে তালতলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছি। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, জেলেরা বনের ভেতরে রান্না করেছে এবং সেখান থেকে আগুন লাগতে পারে। আমরা তদন্ত করে দেখছি। পরে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

প্রায় ১৭ ঘণ্টার আগুনে বনের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে মতিয়ার বলেন, 'বনের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।'

পরিবেশকর্মী মো. আরিফুর রহমান বলেন, 'সংরক্ষিত টেংরাগিরি বনের একটি অংশে প্রায় ১৭ ঘণ্টা ধরে আগুন জ্বলেছিল। এতে বনের অনেকটা অংশ পুড়ে গেছে। কিছু দিন আগেও এ রকম আগুন দিয়েছে একটি চক্র।

'বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় আরও আন্তরিক এবং আইনের প্রতি জনগণের সচেতন হওয়া দরকার। তা না হলে বন উজাড় হয়ে যাবে,' বলেন তিনি।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, 'এই বন থেকে দুর্বৃত্তরা প্রায়ই গাছ চুরি করে। এসব গাছের গুড়ি নিশ্চিহ্ন করতে আগুন দেওয়া হয়। এবারের আগুনে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, শতাধিক গাছ মরে যেতে পারে।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত আনোয়ার তুম্পা বলেন, 'বনে আগুন লাগার বিষয়টি স্থানীয়রা আমাকে জানিয়েছেন। কে বা কারা এর সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে বের করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago