বরিশাল

বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ, দিনে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন শতাধিক

বরিশাল বিভাগে ডায়রিয়া পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, প্রতি বছরই গ্রীষ্ম মৌসুমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে, তবে এখনই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়।
বরিশাল সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসা চলছে। ছবি: টিটু দাস/স্টার

বরিশাল বিভাগে ডায়রিয়া পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। যদিও স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, প্রতি বছরই গ্রীষ্ম মৌসুমে ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়ে, তবে এখনই পরিস্থিতি উদ্বেগজনক নয়।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় যথেষ্ট পরিমাণ স্যালাইন মজুদ রয়েছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস জানায়, গত ২ মাসে প্রায় ১০ হাজার ডায়রিয়া রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন প্রায় দেড়শ'র বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। কেবল ফেব্রুয়ারি মাসেই প্রায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ভোলা জেলায়। সেখানে গত ২ মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ১২৯ জন। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছেন প্রায় ৩৬ জন।

ভোলার পরেই বরিশাল জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এ জেলায় গত ২ মাসে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ২ হাজার মানুষ।

এ ছাড়াও, গত ২ মাসে পটুয়াখালীতে এক হাজার ৯১২ জন, পিরোজপুরে এক হাজার ৪৫৫ জন, বরগুনায় ৭৭৩ জন এবং ঝালকাঠিতে ৩৯৪ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।

বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস জানায়, এই বিভাগে ২০২২ সালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৭০ হাজার এবং ২০২১ সালে বেড়ে হয়েছিল ৭২ হাজার।

ডায়রিয়ার জন্য ডেডিকেটেড বরিশাল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সদর হাসপাতালে ১২টি বেডের সব কয়টিতেই রোগী ভর্তি আছে। আগের চেয়ে বেশি হারে ডায়রিয়া রোগী এলেও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি।'

বিভাগীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হুমায়ুন শাহীন খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সাধারণত গ্রীষ্ম মৌসুমে এই অঞ্চলে ডায়রিয়ার প্রকোপ থাকে। খাল-বিল ও নদীতে পানি কম থাকায় তা দূষিত হয়ে যায় এবং এই দূষিত পানি পান করে মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। এটা এই অঞ্চলের ধারাবাহিক চিত্র। ডায়রিয়ার প্রকোপ আগের চেয়ে বাড়লেও এখনই উদ্বেগজনক বলা যাবে না। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস ৪২টি উপজেলায় ৪১০টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে।'

'গত ২ মাসে ডায়রিয়ায় আমাদের এখানে কেউ মারা যাননি। হাসপাতালে এক হাজার সিসির ৪১ হাজার ৫১৬টি ও ৫০০ সিসির ২৩ হাজার ৬২৬টি আইভি স্যালাইন মজুদ আছে, যা পর্যাপ্ত বলে মনে করছি', যোগ করেন তিনি।

এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, 'সচেতনতার অভাবে দূষিত পানি পান করার ফলেই পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Don't want to be part of these dirty games: Tamim

Former ODI skipper Tamim Iqbal revealed he opted out of the World Cup due to unfair treatment that he received from a Bangladesh Cricket Board (BCB) official.

1h ago