গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগ চালু
রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ক্যানসার প্রতিরোধ (প্রিভেন্টিভ অনকোলজি) বিভাগ চালু করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটিকে দেশের প্রথম ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তিন ধাপে পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার সেবা ও গবেষণা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। উদ্যোগটি 'গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতাল' প্রকল্পের আওতাভুক্ত।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও। ক্যানসার আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রতিরোধ, নির্ণয়, চিকিৎসা ও প্রশমন সেবার সুবিধা অপ্রতুল। স্বাস্থ্যবিমার আওতায় রোগীর আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী সেবার ব্যয়, সারা দেশে সমাজভিত্তিক প্রাথমিক সেবা প্রদান ও প্রতিরোধের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তিন ধাপে সেবা দেওয়া হবে গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র চ্যারিটেবল ট্রাস্টের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা। মূল বক্তব্য দেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ও ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক এম এ হাই, বারডেমের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক শুভাগত চৌধুরী, নারীস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি হালিদা হানুম আখতার, নারী অধিকারকর্মী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি শিরীন হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গাইনি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক লতিফা শামসুদ্দিন, বিএসএমএমইউর ইউরো অনকোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এ সালাম, বিএসএমএমইউর প্যালিয়েটিভ কেয়ার বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেজাম উদ্দিন, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ আফতাব উদ্দিন, আবু জামিল ফয়সাল, মো. শহিদুল্লাহ, জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আবদুর রহমানসহ অনেকে।
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী ও ক্যানসার প্রতিরোধ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেন, 'প্রথম ধাপে নগর হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার বিদ্যমান সুবিধা (৭ম তলায় ব্র্যাকিথেরাপি ও কেমোথেরাপির ডে-কেয়ার সেন্টার, বিদ্যমান জনবল) আত্তীকরণ করে এর সাথে ৬ষ্ঠ তলায় ক্যানসার ওপিডি ও ক্যান্সার প্রতিরোধ বিভাগ যুক্ত করে ক্যান্সার হাসপাতালের ইউনিট-১ গড়ে উঠবে একটি স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে। ভর্তি রোগীর চিকিৎসা হবে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের আওতায়। ২০২৪ সালের মধ্যে এই ইউনিট ও নগর হাসপাতালের সমন্বয়ে কেবলমাত্র বিকিরণ চিকিৎসার টেলিথেরাপি (লিনিয়ার এক্সিলারেটর) ছাড়া ক্যানসারের সব সেবা চালু হবে।'
Comments