সিনওয়ারের অন্তিম মুহূর্তের ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করল ইসরায়েল

ড্রোন ফুটেজে মুখোস পরিহিত ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: রয়টার্স
ড্রোন ফুটেজে মুখোস পরিহিত ইয়াহিয়া সিনওয়ার। ছবি: রয়টার্স

হামাস নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ। আইডিএফ এই ঘটনার ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, নিহত হওয়ার কয়েক মুহূর্ত আগে সিনওয়ার ড্রোনের দিকে একটি কাঠের টুকরো ছুঁড়ে মারছেন।

আজ শুক্রবার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সিওয়ারকে হত্যার আগের মুহূর্তের ভিডিও প্রকাশ করেছে।

ইয়াহিয়া সিনওয়ারের অন্তিম মুহূর্ত। ভিডিও উৎস: আইডিএফ

ভিডিওতে সিনওয়ারকে মুখোশ পরে থাকতে দেখা যায়। এডিট করা এই ভিডিওতে সিনওয়ারকে লাল রঙ দিয়ে বৃত্তাকারে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ভিডিওতে একটি কক্ষে সিনওয়ারকে বসে থাকতে দেখা যায়। সেই কক্ষের ভেতর ভেঙে পড়া নির্মাণ সামগ্রীর ছড়াছড়ি। এ সময় তার দিকে ড্রোন ধেয়ে আসতে দেখে লাঠি ছুঁড়ে মারেন সিনওয়ার।

আইডিএফের মুখপাত্র রিয়াল অ্যাডমিরাল ড্যানিয়েল হ্যাগারি বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করেন এবং সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করে বিবৃতি দেন।

এই বিবৃতিতে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের ঘটনাগুলোর বর্ণনা দেন।

হ্যাগারি বলেন, 'সিনওয়ার যেখানে লুকিয়ে ছিলেন, সে জায়গাটিকে আমাদের বাহিনী দীর্ঘ সময় ধরে ঘিরে রেখেছিল। আমরা নিশ্চিত ছিলাম না যে তিনি সেখানে আছেন কি না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা সংকল্পবদ্ধ ভাবে অভিযান চালিয়ে যাই।'

হ্যাগারি তারপর এই হামলার বিস্তারিত জানান। আইডিএফ গাজায় তিন হামাস যোদ্ধাকে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়িতে পালিয়ে যেতে দেখে।

সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করছেন ড্যানিয়েল হ্যাগারি। ছবি: ভিডিও থেকে স্ক্রিণশট
সিনওয়ারের মৃত্যু নিশ্চিত করছেন ড্যানিয়েল হ্যাগারি। ছবি: ভিডিও থেকে স্ক্রিণশট

'অন্য জায়গা থেকে পালিয়ে এসে সিনওয়ার একাই একটি ভবনে প্রবেশ করেন। আমাদের বাহিনী ড্রোন দিয়ে এই এলাকাটির ওপর নজরদারি চালায়। আপনারা সেটি এখন এই ফুটেজে দেখতে পাবেন', যোগ করেন হ্যাগারি। 

ভিডিওটি দেখানোর পর হ্যাগারি ব্যাখ্যা দেন, 'সিনওয়ারের হাতে গুলির আঘাত ছিল। এখানে তাকে আমরা মুখ ঢাকা অবস্থায় দেখতে পাচ্ছি। তার জীবনের অন্তিম মুহূর্তে তিনি ড্রোনের দিকে একটি কাঠের টুকরো ছুঁড়ে মারেন। আমরা তাকে ভবনের ভেতর অবস্থানরত জঙ্গি সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করি। তারপর তাকে খুঁজে বের করার প্রথম ধাপ হিসেবে সেনারা ভবনের উদ্দেশে গুলি চালায়। তারপর তারা ভেতর প্রবেশ করেন। এক পর্যায়ে সেনারা সিনওয়ারকে খুঁজে পায়। তখন তার গায়ে একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, সঙ্গে একটি পিস্তল ও ৪০ হাজার শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) ছিল। তিনি পালানোর চেষ্টা করলে আমাদের সেনারা তাকে হত্যা করে।'

হ্যাগারি বলেন, 'গাজা থেকে সন্ত্রাসীরা গত বছর ইসরায়েলে হামলা চালিয়েছিল। সেটা ছিল ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে নৃশংস হামলার ঘটনা। এই ঘটনার জন্য দায়ী ছিলেন সিনওয়ার।'

'গত এক বছর, সিনওয়ার ন্যায়বিচার এড়াতে সক্ষম হলেও অবশেষে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা বলেছিলাম আমরা তাকে খুঁজে বের করে তার বিচার করব, এবং আমরা তা করে দেখিয়েছি। গাজার বেসামরিক মানুষের মাঝে লুকিয়ে থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এই ইয়াহিয়া সিনওয়ার।'

Comments

The Daily Star  | English

Next nat’l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

The BNP will feel reassured if both the chief adviser and the chief election commissioner disclose to the nation what they discussed about the upcoming national polls during Thursday’s meeting, the party’s Standing Committee member Salahuddin Ahmed said yesterday.

47m ago