প্রাথমিক চিকিৎসার যে ৫ উপকরণ বাড়িতে রাখতে পারেন

বাসায় থাকা অবস্থায় যেকোনো দুর্ঘটনায় শরীরের কোথাও একটু কেটে যাওয়া কিংবা কোথাও হালকা পুড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে মাথাব্যাথা, সর্দি-জ্বরসহ নানাবিধ অসুখ হতে পারে। এ ছাড়া যেকোনো সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে। জরুরি মুহূর্তে ব্যবহারের জন্য বাসায় সবসময় কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ রাখা ভালো।
নিচের ৫টি প্রাথমিক চিকিৎসা উপকরণ সবসময় আপনার বাসায় রাখা উচিত-
অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও লিকুইড
অসাবধানতাবশত সবজি কাটতে গিয়ে কিংবা দ্রুত কোনো কিছু ছিলতে গিয়ে অনেক সময় হাত কেটে যেতে পারে। কোথাও কেটে গেলে সংক্রমণ বন্ধ করতে ও দ্রুত নিরাময়ের জন্য অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম ও লিকুইড (যেমন- ডেটল) ব্যবহার করতে হবে। তাই এগুলো সবসময় রাখুন।
পুড়ে যাওয়া অংশে ব্যবহারের মলম
রান্না করা বা কাপড় ইস্ত্রির কাজ নিয়মিত করলে মাঝেমাঝে হাত পুড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। পুড়ে যাওয়া অংশে ফোসকা ও যন্ত্রণা হতে পারে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাসায় সবসময় পুড়ে যাওয়া অংশে ব্যবহারের মলম রাখতে পারেন। সেরকম পরিস্থিতিতে দ্রুত সেই মলম ব্যবহার করতে পারবেন।
সঠিকভাবে মলম দিলে পারলে ত্বকের প্রদাহ হ্রাস পাবে, ত্বক আরও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে এবং ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিও রোধ হবে। যেহেতু পুড়ে যাওয়া অংশে দ্রুত মলম লাগানোটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তাই এটি বাসার এমন স্থানে রাখুন, যাতে খুব দ্রুত সেটি ব্যবহার করতে পারেন।
যন্ত্রণানাশক ক্রিম ও স্প্রে
যন্ত্রণানাশক ক্রিম ব্যবহারে শরীরের জয়েন্টে, পিঠে কিংবা অন্যান্য স্থানের ব্যাথা উপশম সম্ভব। এজন্য অনেক বয়স্ক মানুষ এ ধরনের ক্রিম ব্যবহার করেন। এগুলো অনেক সময় স্প্রে ক্যানেও পাওয়া যায় এবং ব্যাথাযুক্ত স্থানে স্প্রে করলে ব্যথা দ্রুত কমে যায়।
সাধারণ সর্দি-জ্বরের জন্য ওটিসি মেডিসিন
বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে এলে সাধারণ সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হতে পারেন, যার ফলে হাঁচি, গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথা হতে পারে। প্রতিকার হিসাবে আপনি সংশ্লিষ্ট রোগের ওভার-দ্য কাউন্টার বা ওটিসি ওষুধ গ্রহণ করতে পারেন। সাধারণ সর্দি-জ্বরে ডাক্তাররা সাধারণত এসব ওষুধ দিয়ে থাকেন এবং এগুলো কিনতে প্রেসক্রিপশনের প্রয়োজন হয় না।
প্যারাসিট্যামল, ওমিপ্রাজল, অ্যান্টাসিড, ভিটামিন ক্যাপসুল এগুলো হচ্ছে ওটিসি মেডিসিন। জ্বরের জন্য নাপা সারাদেশে খুবই পরিচিত একটি প্যারাসিট্যামল ওষুধ। পাশাপাশি সর্দির জন্য ট্যাবলেট, ক্যাপস্যুল ও সিরাপ ফর্মে আরও কিছু ওষুধ আছে, যেগুলো বাসায় রাখতে পারেন।
আইস কিউব
আইস কিউব আসলে কোনো ওষুধ নয়, তবে এটি আঘাতকে আরও খারাপ হওয়া থেকে রোধ করার প্রথম প্রতিরোধী হিসেবে খুব কার্যকর হতে পারে। বরফ সাধারণত ফোলাভাব, ব্যথা, চুলকানি এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে খুব কার্যকর। পেশীতে টান লাগলেও বরফ লাগালে ব্যথা দ্রুত কমতে পারে। আইস কিউব সরাসরি ব্যবহার না করে প্লাস্টিকের ব্যাগে বা কাপড়ে মুড়িয়ে ব্যাথাযুক্ত স্থানে ব্যবহার করুন।
অনুবাদ করেছেন আহমেদ হিমেল
Comments