ভ্রমণ বই ‘প্রত্নকথা’র মোড়ক উন্মোচন

প্রত্ননগরীখ্যাত মুন্সীগঞ্জের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে ভ্রমণ বিষয়ক বই 'প্রত্নকথা' প্রকাশিত হয়েছে। বইটিতে মুন্সীগঞ্জের প্রত্নতাত্ত্বিক ও দর্শনীয় ৬২ স্থানের সচিত্র বর্ণনা, অবস্থান, ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
এছাড়া মুন্সীগঞ্জ জেলা ভ্রমণে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে একদিনে ভ্রমণ করা যায় এমন তিনটি ট্যুর প্ল্যান বা ভ্রমণ পরিকল্পনা সন্নিবেশ করা হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসন প্রকাশিত এ বইটির মোড়ক গতকাল সোমবার মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে উন্মোচন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

বইটি প্রকশনার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত বলেন, 'জেলার পর্যটনকে সমৃদ্ধ করা ও আগামীর প্রজন্মের কাছে এগুলোকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে এ ধরনের একটি ভ্রমণবই প্রকাশ করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।'
এ বই সংরক্ষণে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের জানার সুবিধার্থে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা, লাইব্রেরি, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়, রিসোর্টসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পাঠানোর পরিকল্পনা আছে বলে জানান তিনি।
পর্যটক ও ভ্রমণপিপাসুদের সুবিধার্থে বইটিতে জেলা ও উপজেলার আলাদা মানচিত্র, আবাসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। দেশি ও বিদেশি পর্যটকদের কথা বিবেচনায় রেখে বইটির সব তথ্য ও বর্ণনা বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায় লিখিত হয়েছে।
এর অনলাইন ভার্সন মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া বইতে দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করেও এর পিডিএফ ভার্সন পড়ার উপযোগী করা হয়েছে।
বইটি সম্পাদনা করেন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ উল্যাহ। তিনি বলেন, 'মুন্সীগঞ্জ জেলায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে আরও অনেক নতুন নতুন দর্শনীয় ও আকর্ষণীয় স্থান। মুন্সীগঞ্জ ভ্রমণে এলে এই স্থানগুলো না দেখলে পর্যটকদের একটা অতৃপ্তি থেকেই যাবে। জেলা প্রশাসকের পরিকল্পনা ও দিক-নির্দেশনায় ভ্রমণপিপাসুদের জন্য বইটি প্রকাশিত হয়েছে। এটি পর্যটকদের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার ভ্রমণগাইড হিসেবে কাজ করবে।'
বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ-বাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. শাহ্রিয়ার কাদের ছিদ্দিকী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো. নিজাম উদ্দিন, ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের, প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাবিনা আলম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান, এনটিএমসির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল কাইয়ুম মোল্লা, পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (এসবি) মো. গোলাম রসুল, বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা, পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ মিয়াসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
Comments