সাহিত্যিক রাজশেখর বসুর জন্মদিন
সাহিত্যিক,বিজ্ঞানী ও অভিধান প্রণেতা রাজশেখর বসুর জন্মদিন আজ। তিনি আজকের দিনে ১৮৮০ সালের ১৬ মার্চ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার বামুনপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে ২৭ এপ্রিল মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে ঘুমন্ত অবস্থা মারা যান।
তার পৈতৃক বাড়ি নদীয়া জেলার উলা গ্রামে। পিতা দার্শনিক চন্দ্রশেখর বসু ছিলেন দ্বারভাঙ্গা রাজ এস্টেটের ম্যানেজার। রাজশেখর বসু ব্যঙ্গকৌতুক ও বিদ্রুপাত্মক কথাসাহিত্যের জন্য প্রসিদ্ধ ছিলেন দুই বঙ্গে।
রাজশেখর বসু বাংলা সাহিত্যে রসরচনার জন্য খ্যাতিমান ছিলেন। লেখক হিসেবে তিনি 'পরশুরাম' ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। ১৯২২ সালে এ ছদ্মনামে তার 'শ্রীশ্রীসিদ্ধেশ্বরী লিমিটেড' ব্যঙ্গ রচনাটি প্রকাশিত হয়। তীব্র ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ শিল্পিত ভঙ্গিতে প্রকাশের অনাবিল ক্ষমতা ছিল তাঁর। এছাড়া সামাজিক ও ধর্মীয় কুসংস্কার এবং যাবতীয় সঙ্কীর্ণতার বিরুদ্ধে তিনি বেশ কিছু মূল্যবান গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর রচিত গ্রন্থের সংখ্যা মোট একুশ। তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: রম্য-রচনা গড্ডলিকা (১৯২৪) হনুমানের স্বপ্ন (১৯৩৭), গল্পকল্প (১৯৫০); গল্প কৃষ্ণকলি (১৯৫৩), প্রবন্ধ লঘুগুরু (১৯৩৯), ভারতের খনিজ (১৯৪৩), কুটিরশিল্প (১৯৪৩), বিচিন্তা (১৯৫৫); অনুবাদ মেঘদূত (১৯৪৩), বাল্মীকি রামায়ণ (১৯৪৬), মহাভারত (১৯৪৯), হিতোপদেশের গল্প (১৯৫০) ইত্যাদি। তার চলন্তিকা (১৯৩৭) বাংলা ভাষায় বহুল প্রচলিত জনপ্রিয় অভিধান।
১৯৫৫ সালে সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ কৃষ্ণকলি ইত্যাদি গল্প গ্রন্থের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার তাকে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত করে। আনন্দীবাঈ ইত্যাদি গল্প বইটির জন্য তিনি ১৯৫৬ সালে ভারতের সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৫৬ সালে ভারত সরকার তাকে পদ্মভূষণ উপাধি দেয়।
Comments