‘ভবনটির সিঁড়ির পাশে গ্যাস সিলিন্ডার ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা ছিল’
রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবন গ্রিন কোজি কটেজ শপিং মলে ভয়াবহ আগুনে ৪৪ জন নিহত হয়েছে।
ভবনটিতে কোনো অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।
ভবনটিতে একটি মাত্র সিঁড়ি ছিল এবং কোনো জরুরি বহির্গমন অর্থাৎ আগুন লাগলে জরুরি ভিত্তিতে বের হওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়া ভবনটিতে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন তারা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এই ধরনের বাণিজ্যিক ভবনে শুধু একটিমাত্র সিঁড়ি থাকা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি অগ্নি নিরাপত্তা প্রোটোকলের একটি বড় ত্রুটি।'
'বিল্ডিংটিতে বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ ছিল এবং সিঁড়ির পাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল, যে কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে,' বলেন তিনি।
গত রাতে ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় মামলা হবে। বিল্ডিং কর্তৃপক্ষ রাজউকের পরিকল্পনা অনুসরণ করেছে কি না এবং প্রয়োজনীয় অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ছিল কি না এটি তদন্ত করে দেখা হবে।'
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বেইলি রোডে ছয়তলা ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান এবং ঘটনাস্থলকে 'ক্রাইম সিন' ঘোষণা দিয়ে ভবনটির সামনে হলুদ ফিতা আটকে দেন। বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেয়।
ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও, স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইন আছে বলে জানা গেছে।
Comments