আগুনে পুড়ে নয়, অধিকাংশই মারা গেছেন শ্বাসরুদ্ধ হয়ে: র‍্যাব ডিজি

‘নিচের একটি ছোট দোকানে প্রথমে আগুন লাগার পর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। কিন্তু পরে কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন দ্রুত বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ে।’
ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজে আগুনের ঘটনায় নিহতদের অধিকাংশই শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আজ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে যাওয়ার পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান র‌্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন।

তিনি বলেন, 'আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেছি। ওই সাত তলা ভবনের নিচতলা থেকে মূলত আগুনের সূত্রপাত। আমি ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালকের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে বলেছেন, নিচের একটি ছোট দোকানে প্রথমে আগুন লাগার পর অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে তারা প্রাথমিকভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। কিন্তু পরে কয়েকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন দ্রুত বড় আকারে ছড়িয়ে পড়ে।'

'যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই আগুনে পুড়ে নয়, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। ওই ভবনে একটাই মাত্র সিঁড়ি ছিল ও দুটো লিফট ছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ইলেকট্রিসিটি চলে গেলে লিফট বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে লোকজন নামতে পারেনি,' বলেন তিনি।

'আসলে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে অনেকে কী করতে হবে বুঝতে পারেন না। অনেকের সাথে কথা বলে আমি যেটা জেনেছি, যখন কেউ নিচে নামতে চেয়েছে বলা হয়েছে নিচে আগুন লেগেছে। উপরে যেতে চেয়েছে তখন কেউ বলেছেন, উপরে আগুন লেগেছে। ফলে মানুষ কোনদিকে যাবে তা বুঝতে পারেনি,' র‍্যাবের ডিজি বলেন।  

এ ঘটনায় কারো গাফিলতি পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমরা এখনো তথ্য সংগ্রহ করছি। তদন্ত কমিটি হয়েছে তারা রিপোর্ট দেবেন। একটি ভবন তৈরির ক্ষেত্রে রাজউকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদন নিতে হয়। ভবন নির্মাণের পর সেটা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার হবে নাকি আবাসিক হবে সেগুলোর জন্যও নির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। সেগুলো দেখার দায়িত্ব মূলত সিটি করপোরেশন, রাজউক ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের। এখনই বলা যাচ্ছে না, গাফিলতি ছিল কি না। আমরা প্রকৃত ঘটনার খোঁজ নিয়ে আমরা ইন্টেলিজেন্স ইউংয়ের সহায়তায় একটি রিপোর্ট তৈরি করব।'

রাজধানীর বেইলি রোডে সাত তলা ভবনের আগুনে এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ওই ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের মোট ১৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে এবং রাত ১১টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

ভবনটিতে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট ছাড়াও, স্যামসাংয়ের শোরুম, গ্যাজেট অ্যান্ড গিয়ার, ইলিন, খানাস ও পিৎজা ইন।

Comments

The Daily Star  | English

Women MPs in reserved seats: How empowered are they really?

Fifty-two years ago, a provision was included in the constitution to reserve seats for women in parliament for a greater representation of women in the legislative body.

8h ago