কালিয়াকৈরে ঘুমন্ত স্বামীর মুখে গরম পানি ঢেলে স্ত্রী উধাও

গাজীপুরের মানচিত্র। ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স
গাজীপুরের মানচিত্র। ছবি: স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে সেভ করা নাম্বার মুছে (ডিলিট) দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ঘুমন্ত স্বামীর মুখে গরম পানি ঢেলে মুখসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই নারীর স্বামী আলামিন মিয়া (৩৩) এ অভিযোগ করেছেন।  

মঙ্গলবার সকাল ৮টায় উপজেলার কালামপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আলামিন মিয়া টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলার ন্যাটামশরা গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। বর্তমানে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

আলামিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ১১ বছর আগে তিনি মাহফুজা আক্তারকে বিয়ে করেন। রাবেয়া ও রিয়ামনি নামে ২ মেয়ে আছে তাদের। বিয়ের পর থেকে ছোটখাটো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ লেগেই থাকতো। এর জেরে গত ৩ বছর আগে মাহফুজা তার স্বামীকে ছেড়ে চলে যান। এর কিছুদিন পর আলআমিন জুলেখা পারভিন নামে এক নারীকে বিয়ে করে ২ মেয়েসহ কালিয়াকৈরের মৌচাক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। 

এ সময় আবার প্রথম স্ত্রী মাহফুজা আক্তারকে নিয়ে উপজেলার কালামপুর গ্রামে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। মাহফুজা স্থানীয় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আবারও তাদের মধ্যে আগের মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। এর জেরে মঙ্গলবার সকালে মাহফুজা ঘুমন্ত আলামিনের মুখে গরম পানি ঢেলে দেন বলে জানান তিনি।

জানা গেছে, আলামিনের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে তাকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। ঘটনার পর মাহফুজা বাসা থেকে পালিয়ে যান।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আমি বিভিন্ন ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

4h ago