সত্তোরোর্ধ্ব বৃদ্ধাকে লাথি-ঘুষি মারলেন নাতি, মা করলেন ভিডিও

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে সত্তোরোর্ধ্ব দাদীকে মারধর করতে দেখা যায় আব্দুস সামাদকে। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া

বাড়ির জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সত্তোরোর্ধ্ব বৃদ্ধা দাদিকে পেটালেন নাতি। এ ঘটনার সময় শাশুড়িকে রক্ষা না করে ছেলের পক্ষ নিয়ে ভিডিও ধারণ করেন ওই যুবকের মা। গত শুক্রবার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার উত্তর লস্করপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।

মারধরের শিকার বৃদ্ধা পৌর এলাকার উত্তর লস্করপুরের বাসিন্দা লায়লী বেগম। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

এ ঘটনায় মারধরকারী আব্দুস সামাদসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে রোববার রাতে থানায় অভিযোগ নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, আদালতের অনুমতি পেলে লায়লী বেগমের অভিযোগ এজাহারভুক্ত করা হবে।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, পৌর এলাকার উত্তর লস্করপুরের বাসিন্দা লায়লী বেগমের দুই ছেলে ও তিন মেয়ের মধ্যে সৌদি প্রবাসী বড় ছেলে জয়নাল মিয়া কয়েক বছর আগে মায়ের সম্পত্তির একাংশ নিজের নামে লিখে নেন। সম্পত্তি নিলেও মাকে দেখভালের জন্য বোনদের বাড়িতে পাঠিয়ে দেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিসি বৈঠক হয়। গত শুক্রবার জয়নালের ছেলে আব্দুস সামাদ বাড়িতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন। এতে বাধা দেন লায়লী বেগম। তখন সামাদ তার মা আমেনাসহ তাদের আত্মীয়দের নিয়ে লায়লী বেগমকে মারধর করেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, লায়লী বেগমকে সামাদের পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা কেউ উদ্ধার না করে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আব্দুস সামাদ বলেন, আমাদের জায়গার ওপর দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে দাদি ও আমার ফুফুরা বাধা দেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলরদের মধ্যস্থতায় কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। শুক্রবার দেয়াল নির্মাণের কাজ শুরু করলে দাদি বাধা দিতে আসেন। এ জন্য তাকে সরিয়ে দিয়েছি, মারধর করিনি।

স্থানীয় পৌর কাউন্সিলর হারুনুর রশীদ জানান, বৃদ্ধার পরিবারে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। আমরা বৈঠকে বসে দুই পক্ষকে জায়গা আলাদা করে দিয়েছিলাম। বৃদ্ধাকে মারধরের বিষয়টি দুঃখজনক।

থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার মিয়া বলেন, অভিযোগ পেয়ে অনুমতির জন্য আদালতে পাঠিয়েছি। আদালতের সিদ্ধান্ত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Technical education hit by teacher shortage, falling enrolment

Bangladesh’s technical education sector is facing a slow-burning crisis, shaped by a severe shortage of teachers, poor infrastructure, and steadily declining student interest.

11h ago