মাকে হত্যার পরে ৫ টুকরা: ছেলেসহ ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড
নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় মাকে হত্যার অপরাধে ছেলেসহ ৭ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক নিলুফার সুলতানা মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
২০২০ সালের ৬ অক্টোবর রাতে নূরজাহানকে (৫৮) বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করা হয়। এরপর আসামিরা তার মরদেহ ৫ টুকরা করে ধান খেতে ফেলে আসেন।
আসামিরা হলেন—নূরজাহানের ছেলে হুমায়ুন কবির (৩২), তার সহযোগী নিরব (২৬), নূর ইসলাম (৩২), কালাম (৩০), সুমন (৩৩), হামিদ (২৮) ও ইসমাইল (৩০)।
বিচারিক আদালতের কৌঁসুলি (পিপি) গুলজার আহমেদ জুয়েল দ্য ডেইলি স্টারকে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শুরুতে হুমায়ুন কবির নিজেই বাদী হয়ে মায়ের হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ তার সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়। পরবর্তীতে হুমায়ুনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এই মামলায় ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। আসামিদের মধ্যে হুমায়ুনসহ ৫ জন আদালতে জবানবন্দি দেন। নিরব ও নূর ইসলামের জবানবন্দি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাপাটি, বালিশ, কোদাল ও নূরজাহানের কাপড় উদ্ধার করা হয়।
আদালত সূত্র জানিয়েছেন, ২০২১ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নোয়াখালী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার তৎকালীন পরিদর্শক (বর্তমানে কুমিল্লায় পিবিআইয়ে কর্মরত) মো. জাকির হোসেন ৭ জনের বিরুদ্ধে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছিলেন।
Comments