পাউবো কর্মকর্তার ৪ বছরের কারাদণ্ড, দুর্নীতির ৪৩ লাখ টাকা বাজেয়াপ্তের নির্দেশ

২০১৬ সালে হাসনা বানুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে এই মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে রংপুরের স্পেশাল জজ হায়দার আলী মামলার রায় ঘোষণা করেন।
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

দুর্নীতি মামলায় রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হাসনা বানু লিপিকে ৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৪৩ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি আত্মসাৎ করা আরও ৪৩ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

২০১৬ সালে হাসনা বানুর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে এই মামলা করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ সোমবার দুপুরে রংপুরের স্পেশাল জজ হায়দার আলী মামলার রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামি হাসনা বানু লিপি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশি পাহারায় আদালতের হাজতখানায় নেওয়া হয়। সেখানে সাংবাদিকরা তার ছবি তুলতে গেলে তিনি ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাকে নিবৃত্ত করে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হাসনা বানু রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি চাকরিকালে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে নামলে দুদক এর সত্যতা পায়। পরে ২০১৬ সালে দুদকের রংপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাকারিয়া বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে দুদক আইনে মামলা করেন।

রায়ের বিষয়ে দুদকের আইনজীবী হারুনুর রশীদের কাছ থেকে জানা যায়, মামলায় ৭ সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে বিচারক আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪৩ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন। সেইসঙ্গে আত্মসাৎ করা ৪৩ লাখ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন। আগামী ২ মাসের মধ্যে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিতে বলা হয়।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হক প্রামাণিকের ভাষ্য, তারা ন্যায়বিচার পাননি। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার তা পর্যালোচনা করে তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।

Comments