আদালত অবমাননা: নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন সুরক্ষা সচিব ও কারা মহাপরিদর্শক

পরে আপিল বিভাগ তাদের ক্ষমা গ্রহণ করে মামলার বিষয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। সেদিন পরবর্তী শুনানি হবে।
সুপ্রিম কোর্ট

আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন।

আজ সোমবার সকালে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

পরে আপিল বিভাগ তাদের ক্ষমা গ্রহণ করে মামলার বিষয়ে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। সেদিন পরবর্তী শুনানি হবে।

গত ২১ নভেম্বর ৬ কারা কর্মকর্তার পদোন্নতিসংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়ন না হওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে দুই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগ গত বছরের ৭ এপ্রিল এক রায়ে ১৯৮৪ সালের নিয়োগ বিধি অনুযায়ী, ৬ কারা কর্মকর্তাকে সিনিয়র জেল সুপারের পদে পদোন্নতি দিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ৬ কর্মকর্তা হলেন—মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, ইকবাল কবির চৌধুরী, মো. আনোয়ারুজ্জামান, মুনির আহমেদ, মো. বজলুর রশিদ আকন্দ ও নুরুন্নবী ভূঁইয়া।

তবে বিগত দেড় বছরেও আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন না করায় আনোয়ারুজ্জামান ছাড়া বাকি ৫ কর্মকর্তা কারাগারের আইজি ও স্বরাষ্ট্র সচিবের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথকভাবে আদালত অবমাননার আবেদন করেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. ইব্রাহিম খলিল। তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।  

ব্যারিস্টার মো. ইব্রাহিম খলিল জানান, গত ৬ নভেম্বর তাদের নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য ২ সপ্তাহ সময় দেন আপিল বিভাগ। আইজি ও স্বরাষ্ট্র সচিব গত ২১ নভেম্বর আইনজীবী শফিকুল ইসলামের মাধ্যমে আপিল বিভাগে কমপ্লায়েন্স রিপোর্ট জমা দিয়ে বলেন, ছয় কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এটি আদালত অবমাননার শামিল।

Comments