অস্ত্র দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই পুলিশের জালে

অস্ত্র দিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পুত্রসহ দুই জনকে ফাঁসাতে গিয়ে চট্টগ্রামের বায়জিদ বোস্তামি এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক যুবক। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ইমাম হাসান রিপন। ছবি: সংগৃহীত

অস্ত্র দিয়ে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের পুত্রসহ দুই জনকে ফাঁসাতে গিয়ে চট্টগ্রামের বায়জিদ বোস্তামি এলাকায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন এক যুবক। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় এলজি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া যুবকের নাম ইমাম হাসান রিপন (৩৫)। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাঁচলাইশ তিন নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলামের ছেলে মো. সহিদুল ইসলাম প্রকাশ কামাল (৪৩) এবং আব্দুল কাদের সুজন (৩৫) কে ফাঁসাতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হন তিনি। তবে রাতে গুজব ছড়ায় যে কাউন্সিলরের ছেলেকে পুলিশ অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে। পরে আসল ঘটনার জানা যায়।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইমাম হাসান রিপনদের সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে কাউন্সিলর শফিকের ভাই হাসানুলের পুরোনো দ্বন্দ্ব রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলাও হয়েছে। কিছুদিন আগে রাস্তায় সবার সামনে অকথ্য ভাষায় কাউন্সিলরকে গালাগালি করেন রিপন। শনিবার দিবাগত রাতে রিপনের বাসায় গিয়ে তার মা-বাবার কাছে নালিশ জানান কামাল।'

'একপর্যায়ে রাত ১২টার পর বাসা থেকে বের হয়ে রিপন ৯৯৯ নম্বরে পর ফোন করে বলেন, তাকে মারতে তার বাসায় সামনে দুই ব্যক্তি অস্ত্রসহ এসেছেন এবং লোকজন তাদের ধরে ফেলেছে। খবর পেয়ে পুলিশ গেলে সেখানে অস্ত্র নিয়ে পুলিশের সামনে হাজির হন রিপন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং রিপনের কথার অমিল পেলে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে রাতভর সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই এবং অন্যভাবে পুলিশ নিশ্চিত হয় অস্ত্রটি রিপনের কাছেই ছিল,' বলেন ওসি।

ওসি সিনহা আরও বলেন 'জিজ্ঞাসাবাদে রিপন অস্ত্রের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি। পরে অস্ত্রটি জব্দ করে তাকে থানায় আনা হয়। পুলিশের ঘটনাস্থলে যাবার পর স্থানীয় একটি পক্ষ রটিয়ে দেয় কাউন্সিলরের ছেলে অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে। কিন্তু যাচাই বাছাই শেষে পুলিশ ঘটনার ভিতরে যায়।'

এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago