যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা: ৯ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৯ জনের যাবজ্জীবন
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরায় স্থানীয় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিন হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ নয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও নয় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রোববার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত পরিদর্শক মুজিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত নয় আসামিই পলাতক।
এ সময় মামলার ২৩ আসামির মধ্যে পাঁচ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ জনের মধ্যে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৯ জনের মধ্যে একজন আদালত কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, মো. রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী, মমতা আমির হোসেন।
যাবজ্জীবন প্রাপ্ত আসামিরা হলেন, আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন।
মামলা থেকে অব্যাহতি প্রাপ্তরা হলেন, আলকরার কুলাসার গ্রামের নজরুল ইসলাম শিমুল আজিম উদ্দিন আনোয়ার হোসেন সোহেল আতিকুর রহমান নান্টু, ও ইউসুফ হারুন মামুন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী (পিপি) জহিরুল হক সেলিম বলেন, মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি চৌদ্দগ্রাম আলকরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জামাল উদ্দিনকে হত্যা করা হয়। তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতা জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বিরোধ ছিল। ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮টায় বাড়ি থেকে যুবলীগ নেতা জামাল ঢাকা যাওয়ার পথে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়ায় সড়কের ওপরে চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় ২০ জনের স্বাক্ষ গ্রহন শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় নয় জনের মৃত্যুদণ্ড, নয় জনের যাবজ্জীবন ও মামলা থেকে পাঁচজনকে অব্যহতি দেওয়া হয়।
Comments