জেলা প্রশাসনের নির্যাতন

সেই ডিসি সুলতানার বিরুদ্ধে সাংবাদিক আরিফুলের মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আদালত, নথি তলব

আরিফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

গভীর রাতে ফিল্মি স্টাইলে দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে, সন্ত্রাসী কায়দায় হাত-পা বেঁধে মারধর এবং চোখ বেঁধে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গুলি করে হত্যার হুমকি—অভিযোগে বাংলা ট্রিবিউনের কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি আরিফুল ইসলামের দায়ের করা মামলার অগ্রগতি জানতে চেয়েছেন আদালত।

দীর্ঘ পাঁচ বছরেও মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা না পড়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে (আইও) সশরীরে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুড়িগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মজনু মিয়া এই আদেশ দেন।

পাশাপাশি কুড়িগ্রামের তৎকালীন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন এবং তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরডিসি নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার এসএম রাহাতুল ইসলাম ও রিন্টু বিকাশ চাকমার কেস ডায়েরি (সিডি) তলব করেছেন আদালত।

মামলাটি বর্তমানে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধনকারী কর্মকর্তা (জিআরও) আনারুল ইসলাম এবং সাংবাদিক আরিফুলের আইনজীবী সাইদুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদ প্রকাশের জেরে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের ওপর নিগ্রহ চালায় কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসনের একটি দল।

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে শারীরিক নির্যাতনের পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনও তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরডিসি (সিনিয়র সহকারী কমিশনার) নাজিম উদ্দিন, সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এসএম রাহাতুল ইসলামসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫-৪০ জনের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক আরিফুল।

হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশে ৩১ মার্চ সেই মামলা রেকর্ড করে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।

আরিফুলের আইনজীবী সাইদুর রহমান বলেন, 'মামলাটি বর্তমানে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করছে। কিন্তু দীর্ঘ পাঁচ বছরেও তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়নি।'

'কেস ডায়েরি তলবের ফলে জানা যাবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এই মামলার বিষয়ে কতটুকু তদন্ত করেছেন, কী কী বিষয় তদন্ত করেছেন এবং আর কত দিনের মধ্যে অবশিষ্ট তদন্ত সম্পন্ন করে পুলিশ প্রতিবেদন দিতে পারবেন,' বলেন তিনি।

আনারুল ইসলাম বলেন, 'আগামী ২৭ এপ্রিল তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সিডি ও লিখিত ব্যাখ্যাসহ আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের আদেশ রংপুর পিবিআই কার্যালয়ে পাঠানো হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Disrupting office work: Govt employees can be punished within 8 days

The interim government has moved to amend the Government Service Act-2018 to allow swift disciplinary action against its employees who will be found guilty of disrupting official activities.

7h ago