রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায় ৮ মে

ফাইল ফটো

২০০১ সালের রাজধানীর রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ মে দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেছেন। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য মামলাটি অপেক্ষমাণ রেখেছিলেন (সিএভি)।

২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রাজধানীর রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে দুটি বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ১০ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন।

এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার একটি আদালত মুফতি আবদুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন ওরফে হেলালুদ্দীন, মাওলানা মোহাম্মদ তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে সেলিম হাওলাদার, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই ও আরিফ হাসান সুমনের মৃত্যুদণ্ড দেন।

এছাড়া মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা সাব্বির ওরফে আবদুল হান্নান, মাওলানা ইয়াহিয়া, মাওলানা শওকত ওসমান, মাওলানা আবদুর রউফ ও শাহাদাত উল্লাহকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

সাজাপ্রাপ্তরা হরকাত-উল-জিহাদ আল-ইসলামির সদস্য বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানির সময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা মামলার অভিযোগ থেকে দোষীদের খালাস দেওয়ার জন্য হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন। তারা বলেছিলেন, এই মামলায় মোট ৬১ জন রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন, কিন্তু একজনও প্রত্যক্ষদর্শী নেই।

আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেছিলেন, প্রায় আট বছর ধরে তদন্ত চলাকালে তদন্তকারী কর্মকর্তা কোনো পরিস্থিতিগত প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারেননি।

তিনি আরও বলেছিলেন, নির্যাতনের মাধ্যমে তিন আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছিল, একজনের জবানবন্দির বর্ণনার সঙ্গে আরেকজনের মিল নেই।

যোগাযোগ করা হলে আইনজীবী শিশির মনির ডেইলি স্টারকে বলেন, রমনা বটমূল বোমা বিস্ফোরণ মামলাটি আগে হাইকোর্টের অন্যান্য চারটি পৃথক বেঞ্চে শুনানি হয়েছিল। মামলাটি ৪৪০ বার শুনানির জন্য হাইকোর্টের কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়, কিন্তু পূর্ববর্তী রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পর আদালত বহুবার শুনানি স্থগিত করেছেন।

এদিকে ২০১৭ সালের ১৩ এপ্রিল কাশিমপুর কারাগারে মুফতি আবদুল হান্নানের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলার মামলায় তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এই মামলার আরও কয়েকজন আসামি পলাতক।

Comments

The Daily Star  | English

UN says cross-border aid to Myanmar requires approval from both govts

The clarification followed Foreign Adviser Touhid Hossain's statement on Sunday that Bangladesh had agreed in principle to a UN proposal for a humanitarian corridor to Myanmar's Rakhine State

1h ago