অনিয়মে জড়িত ১২৫ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সুপারিশ

গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে এক প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং ১২৫টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আওয়াল।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এসব কথা জানান।
সিইসি বলেন, যে ১২৫টি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন সব কর্মকর্তার নামের তালিকা তাদের নিজ নিজ নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপালনে অবহেলা তথা অসদাচারণের কারণে তাদের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে এক মাসের মধ্যে অবহিত করবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানান, ৯৪ নম্বর কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, উদয়ন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষককে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১-এর ধারা ৫(৩) অনুযায়ী চাকরি থেকে ২ মাসের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি জানান, একইভাবে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব ২ নম্বর কেন্দ্রের (তরুণ কুমার, এসআই গোবিন্দগঞ্জ থানা), ৫৪ নম্বর কেন্দ্রের (মো. আবদুল্লাহ আল মামুন, এসআই গোবিন্দগঞ্জ থানা), ৫৯ নম্বর কেন্দ্রের (মো. আনিছুর রহমান, এসআই গোবিন্দগঞ্জ থানা), ৬২ নম্বর কেন্দ্রের (কনক রঞ্জন বর্মন, এসআই সাদুল্যাপুর থানা) ও ১০৫ নম্বর কেন্দ্রের (মো. দুলাল হোসেন, এএসআই, আটোয়ারী থানা, পঞ্চগড়)-এর পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে -দায়িত্বপালনে অবহেলা তথা অসদাচারণের কারণে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১-এর ধারা ৫ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে চাকরি বিধিমালা অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে পত্র দেবে। কর্তৃপক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে কমিশনকে ১ মাসের মধ্যে অবহিত করবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (সার্বিক) সুশান্ত কুমার সাহার বিরুদ্ধে নির্বাচন কর্মকর্তা (বিশেষ বিধান) আইন-১৯৯১-এর ধারা ৫ অনুসারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে তার অসদাচরণের জন্য ব্যবস্থা নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে ১ মাসের মধ্যে অবহিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে পত্র দিতে হবে।
এ ছাড়া রিটানিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের (আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, রাজশাহী) বিরুদ্ধে দায়িত্বপালনে অবহেলার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, সবগুলো কেন্দ্রের দায়িত্বপালনকারী নির্বাচনী এজেন্টদের তালিকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কর্তৃক সীলকৃত ব্যাগে রয়েছে, যেহেতু নির্বাচন বন্ধ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ের ওপর আদালতের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই যে সব কেন্দ্রের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে সে সব কেন্দ্রের ব্যাগ খুলে দায়ী এজেন্টদের একটি তালিকা তৈরি করতে হবে। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, গাইবান্ধা এই তালিকা করবেন। দোষী নির্বাচনী এজেন্টদের পরবর্তী নির্বাচনে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ করা যাবে না।
ভবিষ্যতে নির্বাচনে কোন ধরনের অনিয়ম করা হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোরতম ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গাইবান্ধা-৫ আসনের পুনঃনির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হবে।
Comments