যমজ শিশুর মৃত্যু, ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জনের চিঠি
চট্টগ্রামে একটি নিবন্ধনবিহীন ক্লিনিকে অক্সিজেনের অভাবে দুই যমজ নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ক্লিনিকের মালিক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে চিঠি দিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন।
জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর ডবলমুরিং এলাকায় মাতৃসেবা নরমাল ডেলিভারি সেন্টার নামে একটি নিবন্ধনবিহীন ক্লিনিকে অটো টেম্পুচালক মো. মনিরের স্ত্রী লাভলি বেগম দুই যমজ সন্তানের জন্ম দেন। নবজাতকদের অক্সিজেনের প্রয়োজন হলে জানা যায় ক্লিনিকে অক্সিজেনের সরবরাহ নেই। পরে দুই নবজাতককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।
মনির অভিযোগ করেন, ক্লিনিকের ১০ হাজার টাকা বিল পরিশোধ করতে না পারায় কর্তৃপক্ষ নবজাতকদের আটকে রাখে। তাদের বাবা ও মায়ের চিৎকারে এলাকার লোক জড়ো হয়ে প্রতিবাদ করলে ততক্ষণে একটি শিশু মারা যায়। পরে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় অন্যজনও।
জানতে চাইলে মনির ডেইলি স্টারকে বলেন, '১০ হাজার টাকার মধ্যে আমি ৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেছি। বাকি টাকা পরে দিবো বললেও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ আমার দুই সন্তানকে আটকে রাখে অথচ তারা অক্সিজেনও দিতে পারছিল না।'
অভিযোগ পেয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী গতকাল ক্লিনিকে গিয়ে সেটি তালাবদ্ধ দেখতে পান। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন ক্লিনিকটি নিবন্ধন ছাড়া অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছিল।
জানতে চাইলে ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, 'আমি আজকে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে ক্লিনিক সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি। জনস্বার্থে বিষয়টি জরুরি। তাই অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছি।'
ডবলমুরিং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, 'এই ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'
Comments