‘কেউ প্রতিবাদ করতে না এলে তিনি একাই প্রতিবাদ করতে দাঁড়াতেন’
সমাজে চলমান যেসব সংকট কিংবা ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের নিয়ে কেউ সমালোচনা করতে সাহস করতেন না, সেখানে সৈয়দ আবুল মকসুদ সেসব সংকট এবং ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কথা বলতেন এবং অন্যদের কথা বলার সাহস দেখাতেন৷
শনিবার বিকেলে প্রথিতযশা গবেষক, সাংবাদিক, লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদের ৭৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
'বাংলাদেশে চলমান ইতিহাস চর্চার সংকট ও সৈয়দ আবুল মকসুদের সাধনা' শীর্ষক আলোচনা সভা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চিন্তাবিদ সলিমুল্লাহ খান৷ তিনি সৈয়দ আবুল মকসুদের লেখনির ওপর দীর্ঘ আলোচনা করেন৷
সলিমুল্লাহ খান বলেন, এখন কেউ কোনো ক্ষমতাধর ব্যক্তির সমালোচনা করেন না৷ কিন্তু সৈয়দ আবুল মকসুদ সব সময় সমাজের নানাবিদ সংকট নিয়ে কথা বলতেন, প্রতিবাদ করতেন৷ তিনি ক্ষমতাবানদের ভুল ধরিয়ে তাদের সমালোচনা করতেন৷ স্রোতের বিপরীতে গিয়ে কথা বলাটাই ছিল সৈয়দ আবুল মকসুদের বৈশিষ্ট্য৷
সাংবাদিক কাজল রশীদ শাহীন বলেন, 'সৈয়দ আবুল মকসুদকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল৷ তার জীবনের অর্ধেক সময় তিনি লেখনীতে কাটিয়েছিলেন এবং বাকি অর্থেক সময় মানুষের নানা সংকট নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন৷ সমস্যা সমাধানে মানুষকে সম্মিলিত করার চেষ্টা করতেন৷ কেউ প্রতিবাদ করতে না আসলে তিনি একাই প্রতিবাদ করতে দাঁড়াতেন৷ তার জীবনার্শ মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে সাহস যোগাবে, অনুপ্রেরণা দেবে৷
আলোচনা সভার বক্তব্য রাখেন সৈয়দ আবুল মকসুদের ছেলে সৈয়দ নাসিফ মকসুদ৷
তিনি বলেন, 'আবুল মকসুদ যেভাবে কাজ করেছেন, তা সবার জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে৷ তার লেখনী মানুষকে সাহস যোগাবে৷'
সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষক বিনায়ক সেন এবং গবেষক ও কলম লেখক আলতাফ পারভেজ৷
রোববার ২৩ অক্টোবর সৈয়দ আবুল মকসুদের জন্মদিন হলেও একদিন আগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সৈয়দ আবুল মকসুদ স্মৃতি সংসদ৷
Comments