মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় বাংলাদেশের ১ দশকের অগ্রগতি উদযাপন

বাংলাদেশে মা ও শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধে গত এক দশকের অর্জিত সাফল্য যৌথভাবে উদযাপন করল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি, ব্রিটিশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশে মা ও শিশুর মৃত্যু প্রতিরোধে গত এক দশকের অর্জিত সাফল্য যৌথভাবে উদযাপন করল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডি, ব্রিটিশ হাইকমিশন এবং বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই সাফল্য উদযাপন করা হয়।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ইউএসএআইডি জানায়, মা ও শিশুর জীবন রক্ষায় অগ্রগতি অর্জনে ২০১২ সালের 'কল টু অ্যাকশন'- ডাক দেওয়া হয়। যুগান্তকারী এই ঘটনার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মা ও শিশুদের মৃত্যু প্রতিরোধে একটি আন্দোলন বেগবান হয়। এই ঘোষণার পর, সরকার পূর্ববর্তী শিশুমৃত্যুর হার কমানোর সাফল্যের উপর ভিত্তি করে ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রতিরোধযোগ্য শিশুমৃত্যু রোধের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ডা. মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব মো. আজিজুর রহমান বক্তব্য রাখেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সহযোগী, এনজিও, পেশাজীবী সংস্থার কর্মকর্তা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ।

'চাইল্ড সার্ভাইভাল কল টু অ্যাকশন' এর দশম বার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়। সেই সঙ্গে ওয়াশিংটন ডিসিতে দিনটি যৌথভাবে উদযাপন করেছে ইউএসএআইডি, ইউনিসেফ এবং ভারত, সেনেগাল ও যুক্তরাজ্য সরকার।

ব্রিটিশ হাইকমিশনের ঢাকার ডেপুটি হাইকমিশনার এবং ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ম্যাট ক্যানেল বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য শক্তিশালী মিত্র এবং আমরা বাংলাদেশের জন্য আরও নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর উন্নয়ন সহযোগী হতে যাচ্ছি।'

ইউএসএআইডি বাংলাদেশের অফিস অব পপুলেশন, হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন বিভাগের ডেপুটি অফিস ডিরেক্টর মারভিন ক্রেসপিন-গেমেজ বলেন, 'একত্রে কাজ করে আমরা দেখেছি যে কীভাবে বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ অর্জনে মা ও নবজাতকের প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু ঠেকানোর প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রচেষ্টা জোরদার করছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago