চট্টগ্রামে ২ দিনব্যাপী ‘বিএসএমসিটিজি সামিট ২০২৩’

বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের উদ্যোগে গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার বন্দর নগরী চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত হলো 'বিএসএমসিটিজি সামিট ২০২৩' শীর্ষক ২ দিনব্যাপী আঞ্চলিক সম্মেলন ও বৈজ্ঞানিক অধিবেশন।
বুধবার সন্ধ্যায় নগরীর একটি ৫ তারকা হোটেলে মেডিসিন সোসাইটির সদস্য এবং আগত অতিথিদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের প্রেসিডেন্ট ও স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক মো. টিটু মিঞার সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাইল খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের মহাসচিব অধ্যাপক আহমেদুল কবির; বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন, চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি অধ্যাপক এম এ সাত্তার; বিএমএ (চট্টগ্রাম) সভাপতি অধ্যাপক মুজিবুল হক খান; বিএমএ (চট্টগ্রাম) মহাসচিব ডা. মোহাম্মদ ফয়সল ইকবাল চৌধুরী; বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিন, চট্টগ্রাম শাখার মহাসচিব ডা. হাবিবুর রহমান; চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সাহেনা আক্তার; চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান; বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের চট্টগ্রাম শাখার সদ্যবিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক অশোক কুমার দত্ত ও বিদায়ী মহাসচিব অধ্যাপক অনুপম বড়ুয়া প্রমুখ।
সম্মেলন কমিটির সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আমির হোসেন। উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই সম্মেলনের অংশ হিসেবে ১৭ মে দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল স্নাতকোত্তর পর্যায়ের প্রশিক্ষণার্থী ও পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেডিসিন শিক্ষকরা এই প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন।
সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ১৮ মে সকালে ২টি কেইস উপস্থাপনার মধ্য দিয়ে মূল বৈজ্ঞানিক অধিবেশনের সূচনা হয়। এই সেশনের সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মো. টিটু মিঞা। প্যানেল অব এক্সপার্ট হিসেবে ছিলেন অধ্যাপক মো. রিদয়ানুর রহমান, অধ্যাপক ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক একেএম আমিনুল হক, অধ্যাপক এম এ হাসান চৌধুরী, অধ্যাপক এম এ সাত্তার, অধ্যাপক আহমেদুল কবির।
পরবর্তীতে, প্লেনারী সেশনে 'মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ক্যারিয়ার গঠন: সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জসমূহ' শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক এম এ ফয়েজ। এরপর বিভিন্ন ধাপে সেপসিস, ম্যালেরিয়া, সর্পদংশন, কীটনাশক বিষক্রিয়াজনিত অসুখের হালনাগাদ চিকিৎসাপদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে মূল্যবান গবেষণাপত্র উপস্থাপন করা হয়।
এ ছাড়া, বিভিন্ন বিষয়ে সীমিত পরিসরে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা।
ঢাকায় সেমিনার-সিম্পোজিয়ামে অংশ নেওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে না নানা সীমাবদ্ধতার কারণে। ফলে এই সম্মেলনটি অংশগ্রহণকারীদের মাঝে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছে।
তারা চট্টগ্রামে নিয়মিতভাবে এ ধরনের আয়োজনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।
Comments