দেশে সামাজিক বৈষম্য বেড়েছে: কাজী খলিকুজ্জামান

দেশে সামাজিক বৈষম্য বেড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সভাপতি, অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলিকুজ্জামান।
আজ সোমবার মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার রাজনগর সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত গুণীজন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, 'বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানুষকেন্দ্রীক উন্নয়নের ধারক। কিন্তু আমরা এখন উন্নয়ন থেকে মানুষকে সরিয়ে নিয়েছি। দেশে সামাজিক বৈষম্য বেড়েছে। কোনো নেতা সমস্যার কথা নির্বাচনী ইশতেহারে বলেননি, যেটা ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হয়েছে। দুর্নীতিকে বাদ দিয়ে আমাদের কল্যাণমুখী চিন্তা করে দেশের জনগণের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আগামী নির্বাচনী ইশতেহারে কী বিষয় সম্পৃক্ত থাকবে, তা নিয়ে একটি বই আমি লিখেছি। আশা করি বইটি পড়লে সবাই ইশতেহার সম্পর্কে জানতে পারবেন।'
'সব সমস্যা নিরসন করে আমরা টেকসই উন্নয়নে কাজ করে যাব। ২০৩১ সালের মধ্যে আমরা উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ থেকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত হতে পারব। এরপর ২০৪১ সালে মধ্যম আয় থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। তার মাধ্যমে সোনার বাংলায় হাঁটার জন্য আমরা একটি পথ রচনা করে যাব।'
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, 'দুখী মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য বঙ্গবন্ধু যেমনিভাবে কাজ করে গেছেন, ঠিক তেমনি তারই দেখানো পথে তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদেরকেও মানুষের কল্যাণে কাজ করে যেতে হবে। দুখী মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানো হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ছিল সমাজতান্ত্রিক।'
তিনি আরও বলেন, 'অতীতের স্বর্ণালি ইতিহাসের সেই রাজনগরকে আবারও ইতিহাসে দাঁড় করাতে হবে। সেই জন্য সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল ও সার্বিক উন্নয়ন সংসদকে আপনারা সাদরে গ্রহণ করুন। সবাই সম্মিলিতভাবে এ অঞ্চলের সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধারে সমবেত হওয়া এখন সময়ের দাবি। সংসদীয় আসন পুনর্বহাল দাবি অবশ্যই সঙ্গত। সম্মিলিতভাবে এই দাবিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি আপনাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।'
Comments