ন্যূনতম ২৫ হাজার টাকা বেতনের দাবিতে পোশাক শ্রমিকদের বিক্ষোভ, স্মারকলিপি

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবিতে নিম্নতম মজুরি বোর্ডে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে পালন করা হয়েছে বিক্ষোভ কর্মসূচি।
আজ বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ের সামনে এই বিক্ষোভ হয়েছে।
কর্মসূচি শেষে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ৭ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে কালক্ষেপণ না করে মজুরি বোর্ডের কার্যক্রম দ্রুত পরিচালনা, বেসিক কমিয়ে নয়, ন্যূনতম ৬০ শতাংশ বেসিক ধরে মজুরি নির্ধারণ করণ। শ্রমিকদের দাবি— নতুন মজুরি ঘোষণার আগ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে হবে। পোশাক শ্রমিকদের মজুরি নির্ধারণে ৭ গ্রেড কমিয়ে ৫ গ্রেড করতে হবে। একইসঙ্গে সোয়েটার ও পিস রেট-এ কর্মরত শ্রমিকদরে কাজের আগে মজুরি নির্ধারণ ও ডাল সিজনে পূর্ণ বেসিক দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে শ্রমিকরা পোশাক খাতে অগ্রগতির নানা সংবাদের তথ্য উল্লেখ করে বলেন, নতুন বাজার বৃদ্ধি, ১০০ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য মাত্রা, ১৭৩টি সবুজ কারখানাসহ বিশ্বের নিরাপদতম সবুজ কারখানার দেশ হিসেবে স্বীকৃতি, জলবায়ু অভিঘাত বিবেচনায় টেকসই উন্নয়নসহ নানা বিষয়ে আমরা পত্রিকাগুলো থেকে জেনেছি। এসব তথ্য জাতীয় অর্থনীতিতে পোশাক খাতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এবং উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা এবং দক্ষতাকে বৃদ্ধির পরিচায়ক। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য— এই খাতের উন্নয়ন বা মধ্যম আয়ের স্বীকৃতির ভাগীদার রফতানি আয়ের শীর্ষ খাতের পোশাক শ্রমিকরা হতে পারেননি। বর্তমান মূল্য স্ফীতি এবং মুদ্রা স্ফীতির সময় এবং আন্তর্জাতিক ও ভূ-রাজনৈতিক সংকটে দেশের দরিদ্র জনগণ শ্রমজীবী মানুষ এক বিরাট সংকটে আছে।
শ্রমিকরা চান, কোনো বৈষম্য না করে ইপিজেড এবং ইপিজেডের বাইরে সমান হারে মূল মজুরির ১০ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিতে হবে। বাধ্যতামূলক, অংশীদারীত্বমূলক প্রভিডেন্ট ফান্ড চালু করতে হবে। চাল, ডাল, তেল শিশুখাদ্য-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য রেশন কার্ডের মাধ্যমে বিতরণের লক্ষ্যে স্থায়ীভাবে রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। শ্রমিকের জন্য জীবন বিমা, চিকিৎসা, শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিতে সরকার ও মালিককে উদ্যোগ নিতে হবে।
Comments