আশুলিয়া

শ্রমিকদের জন্য কবরস্থান করে দিতে চান আ. লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল

'মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি আমার দলের নেতাকর্মীরা আমার জন্য কাজ করবেন। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয় যাকে দেওয়া হবে তার জন্য কাজ করে যাব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কোনা সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।'
শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্বরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাভারের স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় শ্রমিকদের সমাধীর জন্য নিজ অর্থায়নে ৫ বিঘা আয়তনের অত্যাধুনিক কবরস্থান নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা-১৯ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম।

আজ শুক্রবার দুপুরে আশুলিয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের হয়ে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঢাকা-১৯ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ ঘোষণা দেন সাভারের স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় অনেক শ্রমিক বসবাস করেন। এখানে শ্রমিকদের সমাধীর জন্য কোনো কবরস্থান নেই। আপনি মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হলে এই বিষয়টি নজরে আনবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমি আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন না পেলেও ঘোষণা করছি যে, গরীব, দুস্থ শ্রমিকদের সমাধির জন্য শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় আমার ইউনিয়ন এলাকায় একটি নিজ অর্থায়নে ৫ বিঘা (১৬৫ শতাংশ) জমি কিনে পরিকল্পিত একটি কবরস্থান নির্মাণ করবো। এছাড়া কোনো শ্রমিকের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে সমাধি করতে চায় এবং যদি মরদেহ দাফনের জন্য কোনো অর্থ সংকটে পড়েন তবে আমি সেই সমস্যাটা নিজে দেখবো। বিষয়টি শুধু আপনারা আমার নজরে আনবেন।'

সংবাদ সম্মেলনে এই অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ সাভার উপজেলার ইয়ারপুর ও পাথালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান- ইউপি সদস্য এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তিনি। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়মূলক কর্মকাণ্ডও তুলে ধরেন।

কেন নির্বাচনে আসতে চাচ্ছেন এমন প্রশ্নে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম বলেন, 'সাভার পৌরসভা ও সাভারের ৩টি ইউনিয়ন এবং আশুলিয়া থানা এলাকার ৫টি ইউনিয়ন মিলে ঢাকা-১৯ সংসদীয় এলাকা। এই আসনে সাভার পৌরসভা ও ৩টি ইউনিয়ন মিলে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৯২ হাজার। অন্যদিকে আশুলিয়ার ৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ১৬ হাজার। তার মধ্যে ধামসোনা ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৯৬ হাজারের কিছু বেশি। আমাদের এই অঞ্চলটি শিল্প অঞ্চল।  প্রতিবার বিএনপির প্রার্থী এই অঞ্চল থেকেই হয়। আমি মনে করি আওয়ামী লীগের প্রার্থী যদি আশুলিয়া থানা থেকে দেওয়া হয়। তবে আগামী নির্বাচন অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটি নির্বাচন হবে। আর আমাকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হলে বিএনপির যে কোনো প্রার্থীর সাথে নির্বাচন করে আমি জয়ী হতে পারব। আমার ওপর আমাদের নেতাদের আস্থা রয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন, সাভার আশুলিয়ার জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।'

তিনি আরও বলেন, 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অত্যন্ত গণতান্ত্রিক একটি রাজনৈতিক সংগঠন। গণতন্ত্রে প্রতিযোগিতা থাকে এটিই স্বাভাবিক। প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় পরিণত না হয় সেটিই হচ্ছে বিবেচ্য বিষয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি আমার দলের নেতাকর্মীরা আমার জন্য কাজ করবেন। যদি আমাকে মনোনয়ন না দেওয়া হয় যাকে দেওয়া হবে তার জন্য কাজ করে যাব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে কোনা সিদ্ধান্ত আমরা মাথা পেতে নেওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি।

'বয়সে নবীন কিংবা প্রবীন এর ওপরে সংসদ সদস্য হওয়া নির্ভর করে না। যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে দল তাকেই মনোনয়ন দেবেন। বাংলাদেশে একঝাঁক তরুণ বয়সে নবীন সংসদ সদস্য ইতোমধ্যে হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে ইনশাল্লাহ। নবীন এবং প্রবীনের সমন্বয়েই সংসদ পরিচালিত হয়।'

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আশুলিয়া থানায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া তিনি পরপর দুবার জনবহুল স্বনির্ভর ধামসোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago