সেন্টমার্টিন দ্বীপে আটকা পড়েছেন প্রায় ৩০০ পর্যটক

বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন দ্বীপে প্রায় ৩০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।
পর্যটক আটকা পড়ার বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী।
তিনি জানান, জাহাজ চলাচল বন্ধ হওয়ার কারণে কিছু পর্যটক দ্বীপে আটকা পড়েছেন এবং বৈরী আবহাওয়ার কারণে আজ সকাল থেকে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফের মধ্যে চলাচলকারী সব নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে দ্বীপে কতজন পর্যটক আছেন, তা ইউএনও নিশ্চিত করতে পারেননি।
বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের কারণে কক্সবাজারসহ চারটি সমুদ্রবন্দরকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
টেকনাফের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গতকাল ৪৯৬ জন যাত্রী নিয়ে দুটি জাহাজ সেন্টমার্টিনে গিয়েছিল।
'তাদের মধ্যে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ জন যাত্রী দ্বীপ থেকে ফিরে আসেননি', যোগ করেন তিনি।

সেন্টমার্টিনে চলাচলকারী জাহাজ মালিকদের সংগঠন স্কোয়াবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হোসেনুল ইসলাম বাহাদুর ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কতজন পর্যটক আটকা পড়েছেন, নির্দিষ্টভাবে তা আমরা জানি না। তবে ২৫০ থেকে ৩০০ পর্যটক আটকে থাকতে পারেন।'
আটকে পড়া পর্যটকরা নিরাপদে আছেন বলে জানান সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
নিম্নচাপের প্রভাবে বুধবার মধ্যরাত থেকে কক্সবাজারে বৃষ্টি হচ্ছে।
২৪ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় হামুনে ক্ষয়ক্ষতির হওয়ার পর নতুন করে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টির কথা শুনে উদ্বিগ্ন কক্সবাজারের মানুষ।
মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী মুঠোফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়ক্ষতি এখনো আমরা কাটিয়ে উঠতে পারিনি। সরকারও আমাদের কোনো সাহায্য করেনি। এখন যদি আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আসে, তাহলে আমরা কী করব?'
কক্সবাজারের এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শরীফ উল্লাহ বলেন, 'পরিস্থিতি এখনো ভালোই দেখা যাচ্ছে। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না।'
Comments