পাহাড়ে সহিংসতা: খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে ২ মামলা

দুই পার্বত্য জেলায় সহিংসতার পর ধর্মঘটের প্রথম দিন রাঙ্গামাটি শহরে ফাঁকা রাস্তায় নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি। ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে দুই জনকে হত্যার ঘটনায় পৃথক দুই মামলা হয়েছে।

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার শালবন এলাকায় মামুন নামের এক ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন জনের নামে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া মামলায় আরও ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মামলা করা হলেও গতকাল রাতে তা জানা যায়।

গত বুধবার বিকেলে ওই ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে খাগড়াছড়ি। সহিংসতায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় লারমা স্কয়ার বাজারের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সহিংসতায় মারা যান তিন আদিবাসী। যাদের মধ্যে দুই জন ছিলেন গুলিবিদ্ধ। সহিংসতা ঠেকাতে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা।

নিহত মামুনের স্ত্রী মুক্তা আক্তার বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানায় এই মামলা দায়ের করেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন মৃধা।

মামলার এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন মো. শাকিল (২৭), রফিকুল আলম (৫৫), দিদারুল আলম (৫০)।

খাগড়াছড়ির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল বাতেন মৃধা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা মামলা নিয়েছিলাম কিন্তু তদন্ত শুরু করার আগেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

মামলার এজাহারে মামুনের স্ত্রী জানান, তার স্বামী একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী এবং 'মা' ফার্নিচার নামে স্থানীয় একটি দোকানের মালিক ছিলেন। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাড়ি থেকে দোকানের দিকে যান। রাতে দোকানেই থাকবেন বলে জানান। সকালে জানতে পারেন কে বা কারা তার স্বামীর কর্মচারী শাহিনকে তুলে নিয়ে গেছে। তার সঙ্গে পূর্ব শত্রুতা ছিল। আমার স্বামীকেও জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর সদর থানায় স্বামীর লাশ পান। কর্মচারী শাহীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ওসি জানান, তারা মামলাটির তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষ না করে কিছু বলা যাবে না। এখন পর্যন্ত এই মামলায় কেউ আটক বা গ্রেপ্তার হননি।

রাঙ্গামাটিতে অজ্ঞাত আসামি

গত শুক্রবার খাগড়াছড়ির সহিংসতার উত্তাপ রাঙ্গামাটিতেও ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে সংঘর্ষের সময় অনিক চাকমাকে পেটানো হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

গতকাল এই ঘটনায় নিহত অনিকের বাবা আদর সেন চাকমা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।

রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ মো ইমরান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অনিকের বাবা একটি মামলা করেছেন। আমরা সন্দেহভাজনদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।

চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ বলেন, খাগড়াছড়ির মামলার ঘটনার তদন্ত শুরু করার সময় পায়নি পুলিশ। আমরা আসামিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসব। হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

Comments

The Daily Star  | English
education in Bangladesh

As a nation, we are not focused on education

We have had so many reform commissions, but none on education, reflecting our own sense of priority.

13h ago