সপ্তম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেফটি সেমিনারের সমাপনী অনুষ্ঠান

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) যৌথ ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সপ্তম আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সেফটি সেমিনার ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে।

আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর) প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও ঢাকায় আয়োজটি সফলভাবে সমাপ্ত হয় বলে বেবিচকের দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

'প্রমোটিং ফ্লাইট সেফটি বাই এম্ব্রেসিং টেকনোলজিক্যাল অ্যাডবান্সমেন্টস' শীর্ষক মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে গত ২১ অক্টোবর সেমিনারটি শুরু হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান প্রধান অতিথি হিসেবে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এবং সনদপত্র বিতরণ করেন। তিনি তার সমাপনী বক্তৃতায় বাংলাদেশের সম্প্রতি সংগঠিত গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকৃত শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের সাহসিকতা বিমান বাহিনী সদস্যদের দায়িত্ব পালনে অনুপ্রাণিত করবে বলে আশা ব্যক্ত করেন। তিনি আধুনিক সরঞ্জাম দ্বারা সজ্জিত ও পেশাদার বিমান বাহিনী গঠনের মাধ্যমে জাতীয় দায়িত্ব পালনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত অগ্রগতির কারণে আজকের বিমানসেনা, প্রযুক্তিবিদ এবং বিমান চলাচল সংস্থার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিত্যনতুন চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সমন্বয় করে নিতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বিমান শিল্পের ক্রমবিকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া উড্ডয়ন নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

প্রধান অতিথি বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মধ্যে আরও শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরির জন্য মূল্যবান আলোচনা এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণের প্রশংসা করেন এবং উড্ডয়ন নিরাপত্তা প্রসারে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের সুবিধা তুলে ধরেন। প্রধান অতিথি ভবিষ্যতে নিরাপদ উড্ডয়নের জন্য শুভ কামনা জানিয়ে তার বক্তব্য সমাপ্ত করেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সহকারী বিমান বাহিনী প্রধান (পরিকল্পনা) এয়ার ভাইস মার্শাল মো. শরীফ উদ্দীন সরকার এবং বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়াসহ অন্যান্য।

সেমিনারে উড্ডয়ন নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ও বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ছাড়াও বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, রাশিয়া, কাতার, মালদ্বীপ, চীন, কেনিয়া, পাকিস্তান, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, যুক্তরাষ্ট্র ও জিম্বাবুয়ের বিমান বাহিনীর কর্মকর্তারা এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। এ ছাড়াও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, এমআইএসটি ও দেশের প্রধান বেসামরিক বিমান সংস্থার প্রতিনিধিরাও এ সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারটি শুধুমাত্র বিমান চলাচলের নিরাপত্তা সাধনের ক্ষেত্রে একটি গুরত্বপূর্ণ মাইলফলক নয়, বরং বৈশ্বিক বিমান বাহিনীর মধ্যে চলমান সহযোগিতার সূচনা করেছে, যা ভবিষ্যতে বিমান চলাচল নিরাপত্তার পথ আরও প্রশস্ত করবে।

উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ নৌ বাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে সেমিনারের উদ্বোধন করেন।

Comments

The Daily Star  | English

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

4h ago