ইজতেমা মাঠ ছাড়ার ঘোষণা সাদপন্থিদের

টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ। ছবি: স্টার

টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে সাদপন্থি ও যোবায়েরপন্থিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর মাঠ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছে সাদপন্থিরা।

আজ বুধবার দুপুরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের একথা জানান সাদপন্থি গ্রুপের প্রতিনিধি রেজা আরিফ।

বুধবার রাত ৩টার দিকে দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই জন নিহত ও অনেকে আহত হন।

রেজা আরিফ বলেন, 'উপদেষ্টারা আমাদের অনুরোধ করেছেন দুই পক্ষ যদি মুখোমুখি হয় তাহলে অনেক বড় সমস্যা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওনাদের এই অনুরোধকে কনসিডার করে আমরা মাঠ ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেন কোনো রকম সমস্যা তৈরি না হয়।'

নিজ গ্রুপের সাথিদের এবং সাধারণ জনগণ যারা মাঠে আছেন তাদের মাঠ ছেড়ে দিতে বলেন তিনি।

কামারপাড়া দিয়ে বের হওয়ার জন্য ব্রিজ দিয়ে যেতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাবতীয় সাহায্য করবেন এবং ওনারা নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন বলে জানান তিনি।

সাদপন্থিদের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'সিদ্ধান্ত হয়েছে সরকার নিজ দায়িত্বে মাঠটা নিয়ে নেবে। কেউ মাঠের মধ্যে থাকবে না। যেহেতু আমরা ভোর থেকে এখানে আছি আমরা এখনই ছেড়ে দিচ্ছি। ওনারাও (যোবায়েরপন্থি) মাঠে ঢুকবেন না, আমরাও মাঠের মধ্যে ঢুকব না।'

কোনোরকম মারামারি বা সমস্যা যাতে না হয় এজন্য সাদপন্থিদের আহ্বান জানানো হয়।  

রেজা আরিফ বলেন, 'আমাদের সাথিরদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি সরকারের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি।  আমরা যেহেতু মাঠ ছেড়ে দিচ্ছি ওনারাও যেন ইসলামের স্বার্থে দেশের স্বার্থে কোনোরকম সমস্যার চেষ্টা না করেন। ওনারাও যেন রাস্তার মধ্যে নেমে না আসে বা কোনো উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রচার না করেন। আমাদের পক্ষে সবাইকে বলছি কেউ যেন কোনো প্রকার উস্কানিমূলক টেক্সট দেওয়া, কোনোরকম ভয়েস দেওয়া কোনো রকম লাইভে যাবেন না।'

নিহত ও আহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি। যা হয়েছে তা অনুচিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।  

 

Comments

The Daily Star  | English

Uncovering the silent deaths of migrant women

In the shadows of booming remittance flows and the quiet resilience of Bangladesh’s labour diaspora, a disturbing reality persists: numerous Bangladeshi female migrant workers, particularly those employed as domestic help in Gulf countries, are returning home in coffins.

17h ago