রিউমর স্ক্যানারের প্রতিবেদন

সারজিস আলমের হামলায় সাংবাদিক আহতের অভিযোগ মিথ্যা

ছবি: রিউমর স্ক্যানারের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক ও জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের হামলায় একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন—এই অভিযোগ মিথ্যা বলে জানিয়েছে ফ্যাক্টচেকিং প্ল্যাটফর্ম রিউমর স্ক্যানার বাংলাদেশ।

আজ বুধবার রিউমর স্ক্যানার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

ঘুষ লেনদেনের ছবি তোলায় সারজিস আলমের হামলায় ইকবাল হাসান নামে একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, সম্প্রতি এমন একটি ফটোকার্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে৷

ওই ফটোকার্ডে একজন আহত ব্যক্তির ছবি জুড়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানে তার মুখ দেখা যাচ্ছে না এবং ছবির নিচে 'দ্য ঢাকা গার্ডিয়ান' লোগো রয়েছে৷

রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, এ রকম কোনো ঘটনা ঘটেনি, বরং ভিন্ন একটি ঘটনার পুরোনো ছবি ব্যবহার করে সারজিস আলমের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলা হয়েছে৷

অনুসন্ধানে রিভার্স ইমেজ সার্চের মাধ্যমে ইংরেজি সংবাদমাধ্যম নিউ এজের ওয়েবসাইটে গত ২২ মার্চ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। ওই প্রতিবেদনে ব্যবহৃত ছবিটির সঙ্গে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়া ছবিটির মিল রয়েছে৷

ওই একই তারিখে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এনটিভির অনলাইন সংস্করণে একই ঘটনার ভিন্ন দুটি প্রতিবেদন পাওয়া যায়৷ ওই প্রতিবেদন দুটিতেও একই ছবি ব্যবহার করা হয়েছে৷

প্রতিবেদনগুলো পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, গত ২২ মার্চ তিতুমীর কলেজের সামনে সময়ের আলো পত্রিকার প্রতিবেদক সাব্বির আহমেদের ওপর তিতুমীর কলেজের ছাত্রলীগকর্মীরা হামলা করে৷ গুরুতর আহত সাব্বিরকে মহাখালীর লাইফ লাইন হাসপাতালে নেওয়া হয়, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ছাড়া, প্রচারিত ফটোকার্ডে উল্লিখিত 'দ্য ঢাকা গার্ডিয়ান' নামে কোনো সংবাদমাধ্যমের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি৷

আরও নিশ্চিত হতে ফটোকার্ডে উল্লিখিত '৯ ডিসেম্বর, ২০২৪' তারিখের সূত্র ধরে প্রাসঙ্গিক কি-ওয়ার্ড সার্চ করে গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র থেকে ওই দাবির সপক্ষে কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি৷

Comments

The Daily Star  | English

JnU students vow to stay on streets until demands met

Jagannath University (JnU) students tonight declared that they would not leave the streets until their three-point demand is fulfilled

8h ago