কলাপাড়ায় বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর, আহত ২

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এ ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন কলাপাড়া পৌর বিএনপির ১ নম্বর ওয়ার্ডের সহসভাপতি মো. আমজাদ হোসেন (৪৫) ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মো. জসীম উদ্দিন (৪২)।

পৌর বিএনপির সভাপতি গাজী মোহাম্মদ ফারুক বলেন, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় পুলিশের হামলায় দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে রোববারের কর্মসূচি নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা চলছিল। এ সময় মিছিল নিয়ে ৫০-৬০ জন রামদা, লাঠি নিয়ে কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় জ্যেষ্ঠ নেতারা কার্যালয়ের পেছনে একটি কক্ষে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা চেয়ার-টেবিল, টিভিসহ বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করেছে। হামলায় বিএনপি ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী হুমায়ুন সিকদার বলেন, 'হামলাকারীরা বিএনপির নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেনসহ উপজেলার জ্যেষ্ঠ নেতাদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। আগামীকালের কর্মসূচি যাতে না করি, সে জন্য হুমকি দিয়েছে।'

তিনি বলেন, হামলার পরও আগামীকালের কর্মসূচি পালন করা হবে।

তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব তালুকদার বলেছেন, 'কারা হামলা করেছে আমরা জানি না। বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। যদি বিএনপির নেতারা সুনির্দিষ্টভাবে হামলায় জড়িত আওয়ামী লীগ কর্মীদের নাম বলতে পারেন, তাহলে আমরা অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।'

এ ব্যাপারে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম বলেন, হামলার খবর শুনেছি। বিএনপির দিক থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থলে পুলিশ আছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত।

 

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

7h ago