ফরিদপুরে এক যুগ আগে মারা যাওয়া বিএনপি নেতার খোঁজে পুলিশ

আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশের আগে দলটির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযান থেকে বাদ যায়নি ১২ বছর আগে মারা যাওয়া এক বিএনপি নেতার বাড়িও।
এক যুগ আগে মারা যাওয়া ফরিদপুর শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাচ্চু মিয়া আলীর বাড়িতে অভিযানে যায় পুলিশ। ছবি: স্টার

আগামী ১২ নভেম্বর ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণ সমাবেশের আগে দলটির নেতা-কর্মীদের বাড়িতে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। অভিযান থেকে বাদ যায়নি ১২ বছর আগে মারা যাওয়া এক বিএনপি নেতার বাড়িও।

বিএনপির এই সাবেক নেতার নাম বাচ্চু মিয়া আলী। ফরিদপুর শহর বিএনপির এই সাবেক সভাপতি ২০১০ সালের ২৮ আগস্ট মারা যান।

তাকে গ্রেপ্তারের জন্য মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানার পুলিশ ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর মহল্লা এলাকার মিয়া পাড়া সড়কের ১১৩ নম্বর বাড়িতে অভিযান চালায়। বাড়িতে তখন বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী মৌসুমী আলী, মেয়ে আন্তরা মালিয়া (২৫) ও ছেলে মাহির আরাফাত আলী (১৬) ছিলেন।

ঘটনা বর্ণনা দিয়ে মৌসুমী আলী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পুলিশের দুই সদস্য বাড়ির সামনে এসে দরজায় ধাক্কা দিয়ে ডাকাডাকি করতে থাকে। তারা বলেন, আমরা ঢাকা থেকে এসেছি। দরজা খুলন, বাচ্চু মিয়া আলীকে ডাকেন, আমরা উনাকে নিতে এসেছি।

জবাবে মৌসুমী আলী বলেন, 'তাকে (বাচ্চু মিয়া) নিতে হলে কবরস্থান থেকে নিয়ে যেতে হবে। তিনি বেঁচে নেই।

তখন পুলিশ সদস্যরা বলেন, দরজা না খুললে কীভাবে খুলতে হয় তা আমরা জানি। তখন তিনি বলেন, রাতে দরজা খোলা যাবে না। আপনারা অপেক্ষা করেন, সকালে দরজা খুলব।

মৌসুমী আলী জানান, বুধবার সকালে তিনি থানায় গিয়ে বাচ্চু মিয়া আলীর মৃত্যু সনদ জমা দেন।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ জলিল সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ ওয়ারেন্ট তামিল করতে ওই বাড়িতে গিয়েছিল। বাচ্চু মিয়া নয়, তার ছেলের নামে ওয়ারেন্ট ছিল। আদালত থেকে পাওয়া ওয়ারেন্টেও তথ্যগত ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা ওয়ারেন্ট যাচাই করে দেখছি।

Comments